বাজারে কাঁচা সবজির পাশাপাশি মুদিখানা জিনিসের দামও ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের পকেটের উপর চাপ কমাতে আর বাজারে না গিয়ে সোজা চলে যান রেলস্টেশনে। সেখানে অনেকটাই সস্তায় পেয়ে যাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের উন্নত গুণমানের আটা, চাল, ডাল, মোটা খাদ্যশস্য ইত্যাদি।
খুচরো বাজারে চাল, আটা, ডালের মত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে আমজনতার সংসার খরচ ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের আয় সেভাবে বাড়েনি। ফলে দু’বেলা পেট ভরা খাবার খেতে গিয়ে এই দেশের বহু মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।
রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল, আটা দেওয়া হলেও অনেক সময়ই তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিকে খুচরো বাজারে এই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় খোলা বাজার থেকে কিনে খাওয়ার ক্ষমতাও অনেকের নেই।
এই পরিস্থিতিতে দেশের গরিব, বিশেষত নিম্ন মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিতে প্রয়োজনীয় জিনিস কম দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুচরো বাজারে চাল, আটার দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সরকার নিজেই বাজারের থেকে কম দামে এইসব নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ‘ভারত আটা’ মাত্র ২৭.৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করা শুরু করেছে। এর জন্য ২০০ টি মোবাইল ভ্যান রাস্তায় নামানো হয়। এছাড়াও দেশের ২০০০ টি স্থায়ী দোকানেও ভারত ব্র্যান্ডে এই সমস্ত মুদিখানা সামগ্রী কম দামে কিনতে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন রেল স্টেশনে মোবাইল ভ্যানে করে প্ল্যাটফর্মে এই আটা, চাল, ডাল ইত্যাদি বিক্রি হবে।
এই মুহূর্তে খুচরো বাজারে ১ কেজি ব্র্যান্ডেড আটার দাম ৪০-৪৫ টাকা। আর লুজ আটা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০-৩২ টাকা দরে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিয়ে ২৭.৫০ টাকায় ভারত আটা বিক্রি করায় সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এছাড়া ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে ভারত ডাল-ও বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেউ যদি বেশি পরিমাণে ডাল কেনেন তবে তা ৫৫ টাকা প্রতি কেজি দরেও কিনতে পারবেন। আমজনতাকে স্বস্তি দিতে এবার ‘ভারত চাল’ বিক্রিও শুরু করেছে সরকার।
বছরখানেক আগেও যে চাল খোলা বাজারে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে বিক্রি হত সেগুলো এখন প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পেট ভরে খাবার খেতে পারছে না গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। কারণ এদেশের দরিদ্র মানুষের পেট ভরার প্রধান উপকরণই হল চাল ও আটা। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে উন্নত মানের ‘ভাতের চাল’ মাত্র ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত চাল নাম দিয়ে তা ইতিমধ্যেই বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে।
দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ভর্তুকিযুক্ত হারে সেগুলি বিক্রির ব্যবস্থা করেছে সরকার। এর জন্য দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা NAFED ও NCCF-কে ২১.৫০ টাকা প্রতি কেজি দামে গম বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রক। তারাই সেই গম থেকে প্রস্তুত আটা ২৭.৫০ টাকা দরে দেশের আমজনতার জন্য বিক্রি করা শুরু করেছে। একই অবস্থা চাল ও ডালের ক্ষেত্রে।
🔥 সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 ৫ লাখ টাকার বেশি নয়! সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে সরকারি কর্মীরা
👉 SBI এর কর্মচারীরা এবার শুধরে যাবে! ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গোপনে করবে এই কাজ
👉 মে মাসে ঢুকবে বাড়তি DA, তবুও খুশি না সরকারি কর্মীরা
👉 ICICI ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য সতর্কতা জারি করল! যেকোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই জানুন
👉 ৬ মাসের মধ্যে সব বাকী মেটাতে হবে, DA নিয়ে বিরাট রায় আদালতের