ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পর সময়ে শোধ করতে না পারলে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কী কী হতে পারে তা যারা এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাননি তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু অতীতের সেই সময় এখন আর নেই। ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারলেও কেউ অপরাধী হয়ে যান না।
এই বিষয়ে অতীতে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পর বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বর্তমানে তারা গ্রাহকদের এই বিষয়ে বেশ কিছু সুরক্ষা প্রদান করেছে। ফলে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলেও আর সম্মানহানি ও শারীরিক নিগ্রহের আতঙ্কে ভুগতে হবে না আপনাকে।
গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য সরকারি-বেসরকারি সকল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা থার্ড পার্টি রিকভারি এজেন্ট নিয়োগ করে। তারাই মূলত টার্গেট পূরণের জন্য গ্রাহকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করে। মনে করে এইভাবে ঋণের টাকা মেটাতে ব্যর্থ গ্রাহকের উপর চাপ তৈরি করলে সে টাকা দিয়ে দেবে।
এই কু-প্রথায় লাগাম পড়াতে এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে RBI. তারা বকেয়া ঋণের অর্থ বা কিস্তির টাকা আদায়ের পদ্ধতি নির্দিষ্ট প্রটোকলে বেঁধে রাখার জন্য নতুন নির্দেশ দিয়েছে। যেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, কোনও ঋণ গ্রাহকের থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য সকাল ৮ টার আগে এবং সন্ধে ৭ টার পর ফোন করে বিরক্ত করা চলবে না। তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই একই সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাকে তাদের রিকভারি এজেন্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ঋণ আদায়ের নামে কোনও গ্রাহককে শারীরিক এবং মানসিকভাবে হেনস্তা না করে। প্রকাশ্যে কোনও গ্রাহককে আপত্তিজনক কথা বলা, ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে গ্রাহকের গাড়ি বা অন্য কোনও সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া এইসব কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে যা করতে হবে সবকিছুই নিয়ম ও আইন মেনে সুষ্ঠুভাবে করতে হবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
পাশাপাশি কোনও গ্রাহক ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আইন মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে বলে আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে একমাত্র সিকিউরিটাইজেশন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন অফ ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসেট অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট অফ সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট (SARFAESI) অ্যাক্টের মাধ্যমে যা করার করতে হবে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থাগুলোকে।
এই আইন অনুযায়ী কোনও গ্রাহক টানা ৯০ দিন ঋণের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে প্রদেয় ঋণের অর্থকে ব্যাঙ্ক NPA বা নন পারফর্মিং অ্যাসেট বলে বিবেচনা করে। এরপর ঋণ পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে আরও ৬০ দিনের একটি আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এই সব কিছুই আইনত চিঠি পাঠিয়ে করতে হয়। এরমধ্যেও যদি ওই গ্রাহক ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পারেন তবে আরও ৩০ দিন সময় দিয়ে সংবাদপত্র সহ নানান জায়গায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হয় ব্যাঙ্ককে।
সেখানে উল্লেখ করা থাকে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ওই গ্রাহক যে সকল সম্পত্তি ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধ রেখেছিলেন সেগুলি নিলামে তোলা হবে। গ্রাহক যদি টাকা শোধ করতে না পারেন তবে নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তি নিলামে চড়িয়ে সেখান থেকে অর্থ আদায় করতে পারে ব্যাঙ্ক বা ঋণ প্রদানকারী আর্থিক সংস্থা।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে আর যা ইচ্ছে হবেনা! নতুন নিয়ম আনছে RBI
👉 ২৪ মার্চ পর্যন্ত থাকবে এই অফার! গুগল পে থেকে ১৫১ টাকা পাওয়ার বিরাট সুযোগ
👉 রবিবারেও ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে! শুধুমাত্র এই কারনেই এমন সিদ্ধান্ত নিল RBI
👉 ৩১ মার্চ লাস্ট ডেট! তারপর কি সময় বাড়ানো হবে? ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই করুন এই কাজ
👉 কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ১০,০০০ টাকা তো মিলবেই, তার সাথে আরো ১টি সুবিধা দেবে সরকার