পশ্চিমবঙ্গে আগেই চালু ছিল! এবার গোটা দেশেই চালু হল খেলনা মেলা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের মন থেকে পড়াশোনার ভয় দূর করতে অভিনব উদ্যোগ। এর ফলে বাড়িতে থাকার পরিবর্তে তিন থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুরা এবার লাফিয়ে লাফিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসবে। তাতে সার্বিকভাবে শিক্ষার মান বাড়বে দেশ জুড়ে। কারণ এই নতুন উদ্যোগ শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, দেশের প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘খেলনা মেলা’ আয়োজন করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলনা রাখতে হবে। সেই খেলনাগুলি স্থানীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পুতুল হলে আরও ভাল হয় বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খেলাধুলোর এই ব্যবস্থার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে শিশুরা যাতে নিয়মিত সেখানে আসে এটাই হল সরকারের মূল লক্ষ্য। বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, কেন্দ্রের এই উদ্যোগের ফলে শিশুদের মন থেকে খেলাধুলো করে পড়াশোনা শেখার প্রবণতা আরও বাড়বে। তাতে লেখাপড়ার ভয় দূর হবে মন থেকে। বাংলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। সেগুলির প্রত্যেকটিতে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।

তবে রাজ্য সরকারের দাবি, তারা আগেই এই পদক্ষেপ বাংলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলগুলিতে নিয়েছে। সেখানে শিশুদের খেলাধুলো করার পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থা রাখা আছে। এই বিষয়ে রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বাংলার দেখানো পথে হেঁটেই কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের কাছে নতুন কিছু নয়।

অপরদিকে শিক্ষাবিদদের একাংশ ও চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মূল বিষয়ের দিকে নজর দেওয়ার জন্য দুই সরকারের কাছেই অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টির সঠিক বিকাশ ঘটানো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু শিশু ও গর্ভবতী মা পিছু কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করে তা দিয়ে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া তো দুরস্ত, আজকের বাজার দরে ভাল করে ডাল-ভাত খেতেও দেওয়া যায় না। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার খেলা-মেলা করে বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এই বিষয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের গলা থেকেও। তাঁদের বক্তব্য, সঠিক সময় বেতনের অর্থ পাওয়া যায় না এবং নামমাত্র বেতনে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। অপরদিকে আর্থিক বরাদ্দ ঠিকঠাক না থাকায় গর্ভবতী মা এবং শিশুদেরও সঠিক পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। খেলনা দেওয়ার পরিবর্তে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির শিশু ও গর্ভবতী মহাদের দৈনিক বরাদ্দ সরকারের বাড়ানো উচিত বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।

🔥 সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇

👉 চেকে টাকা লিখেই Only লেখা হয় কেন? না লিখলে কী হবে?

👉 ছেড়া নোটে আঠা লাগানোর দরকার নেই, RBI-এর নিয়মটা জানলেই হবে

👉 ICICI ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য সতর্কতা জারি করল! যেকোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই জানুন

👉 ব্যাঙ্কে গিয়ে আর ভিড় করতে হবে না, এইভাবেই টাকা জমা করতে পারবেন

👉 ৬ মাসের মধ্যে সব বাকী মেটাতে হবে, DA নিয়ে বিরাট রায় আদালতের

Leave a Comment