If the ceiling fan runs slowly is electricity consumption reduced
WhatsApp Group Join Now

ভয়ংকর গরমে পুড়ছে বাংলা। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ। অতীতে কখনও এমন টানা তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি। এই বাংলার বুকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়।

তাপমাত্রা এবং তাপপ্রবাহে রাজস্থানের মরু অঞ্চলকেও টেক্কা দিচ্ছে বাংলা। ফলে এই অসহনীয় গরমে পাখা না চালিয়ে এক মুহূর্ত থাকা যাচ্ছে না। যাদের একটু আর্থিক সঙ্গতি আছে তাঁরা বাড়িতে এসি লাগিয়ে নিচ্ছেন। আর যাদের বাড়িতে এসি নেই সেখানে সর্বক্ষণ সিলিং ফ্যান এবং টেবিল ফ্যান চলছে

এদিকে গরম থেকে বাঁচতে বাড়িতে সর্বক্ষণ পাখা চলায় বিদ্যুতের বিলও চড়চড় করে বাড়ছে। মাসের শেষে বাড়িতে বিদ্যুতের বিল যখন আসবে তখন বিষয়টা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা।

আরো পড়ুন: মে মাসে ১৫ দিন ব্যাঙ্ক ছুটি! কোথায় কবে ছুটি এই লিষ্টে দেওয়া আছে

এমনিতেই বর্তমানে ইউনিট পিছু বিদ্যুৎ বিলের খরচ অনেক বেশি। সেই পরিস্থিতিতে রাত দিন পাখা চললে খরচ যে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তা সহজেই বোঝা যায়। এদিকে এই গরম থেকে বাঁচতে পাখা না চালিয়ে উপায়ও নেই। তাই আমজনতার একাংশ গরম থেকে বাঁচতে একটি বিকল্প উপায় বার করেছে।

অনেকেই আজকাল বিদ্যুৎ খরচ কমাতে দিনের নানান সময়ে রেগুলেটরের মাধ্যমে সিলিং ফ্যান বা টেবিল ফ্যানের স্পিড কমিয়ে দিচ্ছেন। কারণ মনে করা হয় যে, পাখা তিন বা চারে চললে যতটা বিদ্যুৎ খরচ হবে পাঁচে চললে তার থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে মাসের শেষে পাখা চলার গতিবেগের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বিদ্যুৎ বিলেও পার্থক্য দেখা দেয়। কিন্তু এই ধারণাটা কি সঠিক?

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, আপনি বাড়িতে ফিলিং ফ্যানের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সাধারণ রেগুলেটর ব্যবহার করেন তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচে বিন্দুমাত্র তারতম ঘটে না।

WhatsApp Group Join Now

ওই রেগুলেটরের মাধ্যমে কেবলমাত্র পাখার গতিবেগ প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো-কমানো যায়। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ খরচে কোন‌ওরকম প্রভাব পড়ে না। তবে বাজারে তুলনায় অনেকটা বেশি দামের এক ধরনের রেগুলেটর পাওয়া যায় যার মাধ্যমে পাখার গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়। অর্থাৎ ওই বিশেষ রেগুলেটর দিয়ে আপনি যদি পাখার গতিবেগ যদি পাঁচ থেকে কমিয়ে তিনে আনেন, তবে পাখার গতিবেগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচও কিছুটা কমে যাবে।

আরো পড়ুন: এখন যেকেউ বীমা (Insurance) করাতে পারবে! এই নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করল সরকার

এদিকে বাজারে বর্তমানে বেশ কিছু সিলিং ফ্যান এবং টেবিল ফ্যান এসেছে যেগুলোতে আরও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মোটর লাগানো আছে। ফলে সেই ফ্যানগুলো অত্যন্ত বেশি জোরে ঘোরে। এই ধরনের ফ্যানে বিদ্যুৎ খরচ অবশ্যই বেশি হয়। কারণ মোটরের ক্ষমতা যত বাড়বে ততই বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *