রান্নার গ্যাস (Gas Cylinder) ছাড়া যেন এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। তবে সকালবেলা বুকিং করা সত্ত্বেও যদি হঠাৎ ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কেমন হবে? কারণ এবার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন লাগবে। হ্যাঁ, বর্ধমান শহর থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবার এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে গ্রাহকরা। তবে অভিযোগ উঠছে, গ্যাস সংস্থা আগাম কোনোরকম নোটিশ দেয়নি।
কী ঘটেছে আসলে?
বর্ধমান শহরের খোশবাগান এলাকার রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস অফিসে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাইন পড়ছে। কেউ বুকিং করছে এক সপ্তাহ আগে, কেউ বা তিন দিন আগে। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডার বাড়ি পৌঁছচ্ছে না। কারণ একটাই, বায়োমেট্রিক হয়নি। এক মহিলা জানিয়েছেন, আমার স্বামীর নামে গ্যাস সংযোগ।
উনি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন। আমি এখানে থাকি। আর এখন ওকে ছুটি নিয়ে এসে বায়োমেট্রিক দিতে হবে। এভাবে হঠাৎ গ্যাস বন্ধ করে দিলে আমরা খাব কীভাবে? তবে গ্যাস কোম্পানিগুলো দাবি করছে, অ্যাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে গ্রাহকরা বলছে যে, বায়োমেট্রিক করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক হবে, এটা আমাদের আগে জানানো হয়নি। বুকিং বাতিল করার আগে অন্তত মেসেজ বা নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। গ্যাসের উপর পুরো সংসার চলে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিতে আসছে নয়া প্রকল্প! প্রতি মাসে মিলবে ৩০০০ টাকা
সংস্থা কী বলছে?
তবে রাজ্যের এক সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে বায়োমেট্রিক করার কথা প্রচার করা হচ্ছে। ডিলারদের মাধ্যমেও জানানো হয়েছিল। তবে এখনো বহু গ্রাহক গুরুত্ব দেয়নি। আর এখন বাধ্য হয়ে এই নিয়ম কার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় বহু সংযোগ এরকম পাওয়া গিয়েছে। অনেকের নামে সংযোগ থাকলেও তারা সিলিন্ডার তোলে না। অথচ অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি ঢুকছে। আর বায়োমেট্রিক চালু হলে প্রকৃত গ্রাহক বা ভুয়ো গ্রাহকদের মধ্যে ফারাক বোঝা যাবে।