মহিলাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করে রেখেছে রাজ্য সরকার। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) পাল্টা পদক্ষেপ নিল বিজেপি সরকার। হ্যাঁ, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারের ঘোষণা করল।
আর এই ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও তো রাজনৈতিক চাল, আবার কোথাও জনমত আকর্ষণ। এক কথায় বলতে গেলে মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য এবার নির্বাচন সবথেকে বড় ফ্যাক্ট হতে চলেছে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালে মমতা ব্যানার্জি লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল, যা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা পায়। এমনকি এই প্রকল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন রাজ্য অন্যান্য প্রকল্প চালু করেছে।
এবার পাওয়া যাবে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আমরা যদি ২০২৬ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসি, তাহলে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করব প্রতিটি মহিলার জন্য। আর এতে প্রতি মাসে মহিলাদের দেওয়া হবে ৩০০০ টাকা করে ভাতা।
আর এবার একই সুরে গলা মিলিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ভাতা দেওয়া হবে ঠিকই, তবে কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হবে। আর একে অপরের বিকল্প নয়, প্রথম সম্পূরক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই ঘোষণায় বিজেপির টার্গেট- লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা দিয়ে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা নিয়ে হাজির হওয়া।
আরও পড়ুন: এবার এক ছাতার নীচে আসছে SBI, PNB সহ ৫ ব্যাঙ্ক! গ্রাহকরা কী সুবিধা পাবে?
লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতা কি বাড়বে?
এদিকে সূত্র মারফত খবর, রাজ্য সরকারও চুপ করে বসে নেই। ২০২৬ সালের লক্ষী ভান্ডারের ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। আর যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১৮০০ টাকা করে ভাতা পাবে। তবে এখন দেখার, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সময় কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।