বর্ষাকালে প্রতিবারের মতো ভারতের কৃষকরা ধানের বীজ রোপন করেছেন এবারও, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে নতুন ফসল কাটা শুরু হবে এবং অক্টোবর মাস নাগাদ সেই ফসল বাজারে আসবে। এই রকম পরিস্থিতিতে ভারতীয় বাজারে চালের জোগান যাতে প্রয়োজনের থেকে বেশি না হয়ে যায়, সেই জন্য চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয় ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন ফসল আসার আগেই তাই কিছু জাতের চাল রপ্তানির ওপরে ভারত সরকার বিধি নিষেধ শিথিল করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কয়েকজন সরকারি আধিকারিক নিজেদের নাম গোপন রাখার শর্তে জানান যে, নির্দিষ্ট শুল্ক দিয়ে সাদা চালের চালানের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ সিদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ কর প্রত্যাহার ও ফিক্সড লেভি আরোপ করার ভাবনা চিন্তাও করছে।
২০২৩ সালেও চাল রপ্তানি করা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখন যদি ভারত সরকার চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা একটু শিথিল করে, তাহলে এশিয়া সহ সমগ্র বিশ্বের বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলেই আশাবাদী রয়েছেন সকলে।
ওদিকে রপ্তানি করা চালের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ফলে ভারতের ঘরোয়া বাজারেও চালের দাম এখন আর বাড়বে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
সরকারের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে গত দুই মাসে ভারতের মোট চাল রপ্তানি এক বছরের আগের তুলনায় ২১ শতাংশ কমে গিয়েছে যার ফলে রপ্তানির ২.৯ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে আবার এই সময়ে নন-বাসমতি চালের চালান ৩২ শতাংশ কমে গিয়েছে , ফলত এই চালের চালান ১.৯৩ মিলিয়ন টন হয়েছে। এই সকল কারণ অনুধাবন করে চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভেবেছে মোদী সরকার।
আরো পড়ুনঃ ১ টা বা ২ টো না, একজন এতটা সিম কিনতে পারবে! আপনার নামে কটা আছে এইভাবে দেখুন
উল্লেখ্য, সরকারি রিপোর্ট মোতাবেক, ৮ জুলাই পর্যন্ত ভারতে ৬ মিলিয়ন হেক্টর বা ১৪.৮ মিলিয়ন একর জমিতে ধানের বীজ রোপন করা হয়ে গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বীজ রোপনের পরিমাণ ১৯ শতাংশ বেশি হয়েছে, এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে, গত বছরের তুলনায় এই বছর যে বৃষ্টি হয়েছে, সেই বৃষ্টির কারণেই ধানের বীজ রোপন বেড়ে গেছে।