মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে এবার গুজবের পর গুজব ছড়াচ্ছে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই নাকি বেরিয়ে যেতে পারে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট! এবার নাকি এপ্রিল মাসের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যবর্তী সময়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে দেবে উচ্চ শিক্ষা সংসদ। পরে শোনা যায় ২৬ এপ্রিল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও পরবর্তীতে এই দুটোই গুজব বলে জানা গিয়েছে।
২০২৩ সালে ১৯ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল। আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২৪ মে। চলতি বছর সেই ধারাবাহিকতা মেনেই প্রথমে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছে। তার কিছুদিন পর শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি।
আরো পড়ুনঃ ৫০০০ টাকা ডাইরেক্ট অ্যাকাউন্টে দেবে সরকার, ভোটের মধ্যেই বিরাট ঘোষনা নেতার
স্বাভাবিকভাবেই আগে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হবে তারপর উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোবে এটাই সকলের ধারণা। কিন্তু হঠাৎই কিছু নিউজ পোর্টাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তিকর কিছু কথা ছড়িয়ে পড়ে। তা থেকে পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিল।
পরবর্তীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২৬ এপ্রিল মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে না। তবে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের যাবতীয় খাতা দেখা হয়ে গেছে। এমনকি মার্কশিট পর্যন্ত ছাপানো হয়ে গিয়েছে। এবারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর নম্বর অনলাইন পোর্টালে আপলোড করার কাজও শেষ। শুধু রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন কবে মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হবে তা জানার জন্য নিয়মিত https://wbbse.wb.gov.in ও wbresults.nic.in -এই দুটো ওয়েবসাইটের যেকোনও একটিতে নজর রাখতে।
আরো পড়ুনঃ 4% DA-এর পর সরকারি কর্মীরা পাবে ১২,৬০০ টাকা! কীসের জন্য দেওয়া হবে এই টাকা?
এদিকে মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগে সেই দিনের কথা সমস্ত সংবাদ মাধ্যমকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। ফলে বিষয়টি জানতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অসুবিধা হবে না। আর ফলাফল প্রকাশের দিন wbresults.nic.in -এই ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডে থাকা রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী নিজস্ব নম্বর দেখে নিতে পারবেন।