বাংলার পড়ুয়াদের জন্য দারুণ সুখবর। মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করলেই এবার পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকা। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে খাতা দেখার কাজ চলছে। সূত্রের খবর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। তবে যেহেতু দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে তাই এই বিষয়ে আইনি কোনও বাধা আছে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।
উচ্চশিক্ষা এখন বহুলাংশে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে। ফলে চিরাচরিত ক্লাসরুমে শিক্ষকের পড়ানোর বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিভিত্তিক পড়াশোনার দরকার পড়ছে। সেই কারণেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব বা স্মার্টফোন বছর বছর উপহার দেওয়া শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কোভিডের সময় ২০২০ সাল থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তারপর থেকে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য দেয় রাজ্য সরকার। এই টাকা প্রত্যেক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়।
২০২০ সালে করোনা মহামারির দাপটে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। বিকল্প পথ হিসেবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু রাজ্যের বহু দুঃস্থ পড়ুয়া এর ফলে বিপাকে পড়ে। তাদের কাছে অনলাইন ক্লাস করার মতো স্মার্টফোন বা ট্যাব ছিল না।
এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য রাজ্য সরকার ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু করে। তবে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে একলপ্তে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া অসম্ভব। তাই যাদের বেশি দরকার সেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বেছে নেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রতিবছর নিয়ম করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে ট্যাব কেনার এই অর্থ।
তবে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বছর থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই বছর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও এই অর্থ পাবে। এর জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেই হবে না, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হতে হবে। কারণ এই ১০ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যে আবেদন জানাবে সেখানে মাধ্যমিকের মার্কশিটের পাশাপাশি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ইত্যাদি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
তবে এই ট্যাবের টাকা নিয়ে কম বিতর্ক নেই। বিগত বছরগুলোতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশ থাকলেও এই ১০ হাজার টাকা দিয়ে ট্যাব কেনেনি বহু পড়ুয়া বা তার পরিবার। বদলে কোনও দোকান থেকে ভুয়ো রশিদ জোগাড় করে তা স্কুলে জমা করেছে তারা। পাশাপাশি শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এখন অফলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তাই ট্যাবের টাকা দিয়ে বরং পড়ুয়াদের ভুল পথে যাওয়ার রাস্তা করে দিচ্ছে সরকার। বদলে সেই অর্থ খরচ করে সার্বিক শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তুললে অনেক বেশি উপকার হত।
🔥 সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 কারেন্ট বিল জমা দেওয়ার পর এই কাগজটি অবশ্যই নেবেন
👉 তালিকায় রয়েছে LIC ও ১ টি ব্যাংক! বড় ভুল করায় শাস্তি দিল RBI