আর মধ্যবিত্তের দায় নেবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? সম্প্রতি দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত এক বস্ত্রশিল্প মেলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন তার এমনই চমকে ওঠা অর্থ উঠে আসছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কাজ হারিয়ে ফেলার মত জীবন যন্ত্রণার সমস্যা এলেও কি আর সরকারের থেকে সাহায্য পাবে না মধ্যবিত্তরা?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে আমি এমন ব্যবস্থা নিয়ে আসব যাতে দেশবাসীর প্রাত্যহিক জীবনে সরকারের ভূমিকার না থাকে। তবে গরিবদের সরকার সাহায্য করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তার আরও বক্তব্য, সরকারের সরাসরি প্রয়োজন নেই মধ্যবিত্তদের জীবনে। লোকসভা ভোটের আগে মোদির এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, তিনি ধরেই নিয়েছেন আগামী পাঁচ বছরেও তাঁর দলই ক্ষমতায় থাকবে এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রীর আসন অলঙ্কৃত করবেন। তবে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে তা হল মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র কিনে, কর দিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং সরকারের কোষাগারকে সমৃদ্ধ করে।
আবার বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যন্ত্রণা তাদেরই সবচেয়ে বেশি ভোগ করতে হয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্য শোনার পর অনেকের আশঙ্কা, আগামী দিনে হয়ত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের আর কোনও সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় সরকার। তবে গরিবদের জন্য সাহায্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কতটা কী থাকবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অনেকের আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আগামী দিনে আরও সবকিছু বাজারের হাতে ছেড়ে দেবে সরকার। ফলে উচ্চবিত্তরা ছাড়া প্রত্যেকেরই স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকাটাই অনেকটা কঠিন হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মানুষ চাকরি হারালেও সরকার সাহায্য করবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে অনেকে ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন।
সেই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে কর্মসংস্থানও আরও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। তবে কীভাবে এই বিষয়টা বাস্তবায়িত হবে সেই সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রীও কিছু বলেননি। অন্যরাও কেউ কোনও ধারণা করতে পারছেন না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী যতই মধ্যবিত্তদের কথা বলুন না কেন বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্ট দেখাচ্ছে ভারতে আয় বৈষম্য ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ফলে সবচেয়ে বিপন্ন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। নোট বন্দি, তারপর জিএসটি এবং সবশেষে করোনার ধাক্কায় মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিসেবে পরিচিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট উদ্যোগপতিরা কার্যত মুছে গিয়েছেন। ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও পরিসর সঙ্কুচিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকার স্রেফ শুধু কতগুলো সংজ্ঞা দিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণি চিহ্নিত করে তাদের সাহায্য করা বন্ধ করে দিলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।
Sourse: Bartaman News
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 এবার DA বাড়ালো মোদি সরকার, কত ছিল কত হলো?
👉 চাষের ক্ষতি হলে টাকা দেবে সরকার! এইভাবে আগেভাগে আবেদন করুন
👉 এতদিন উত্তর ভারতে ছুটি থাকত, এবার পশ্চিমবঙ্গেও এইদিন ছুটি থাকবে
👉 লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতোই! এই প্রকল্পেও মাসে ১০০০ টাকা দেবে সরকার
👉 ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকলেও সাবধান! নতুন নিয়ম RBI এর
👉 বিনিয়োগের ‘৫৫৫ রুল’ মানলে হাতে আসবে টাকা আর টাকা