আটকে যাবে পিএম কিষানের ২০ তম কিস্তি! এক্ষুনি এই কাজটি করুন

দেশটির লক্ষ লক্ষ কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM Kisan) যোজনার টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। হ্যাঁ, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া কৃষকদের সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতিবছর ৬০০০ টাকা পাঠায় কেন্দ্র সরকার। তবে এবারের ২০ তম কিস্তির টাকা পেতে গেলে অবশ্যই ই-কেওয়াইসি করতে হবে। ই-কেওয়াইসি না করলে কৃষকরা আর টাকা পাবে না।

পিএম কিষান যোজনা কী?

প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা হল, কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকদের বছরে ৬০০০ টাকা করে তিন কিস্তিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। আর শেষ অর্থাৎ, ১৯ তম কিস্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। আর এবার ২০ তম কিস্তির প্রস্তুতি চলছে।

কী করলে টাকা পাবেন?

সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওটিপি-ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি না করা থাকলে এবার থেকে এই প্রকল্পের আর টাকা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, আপনি যদি এখনও ই-কেওয়াইসি না করে থাকেন, তাহলে আর এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না। তাই ই-কেওয়াইসি যাদের এখনও বাকি, তাদের জন্য এটিই শেষ সুযোগ। জুনের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ না করলে ২০ তম কিস্তির টাকা ঢুকবে না।

কীভাবে করবেন ই-কেওয়াইসি?

ই-কেওয়াইসি করার জন্য শুধুমাত্র আধার নম্বর এবং সেই নাম্বারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইলটি দরকার হয়। এরপর নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন-

• প্রথমে https://pmkisan.gov.in/ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
• একবার ডান দিকের Farmers Corner অপশনে গিয়ে ‘e-KYC’ লেখাতে ক্লিক করুন।
• এরপর নিজের আধার নাম্বার টাইপ করে সার্চ বাটনে ক্লিক করে দিন।
• এরপর আধার লিঙ্ক মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপিটি বসিয়ে সাবমিট করে দিন।
• সঙ্গে সঙ্গে আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ১ আগস্ট থেকে বন্ধ হচ্ছে সার্ভিস! বদলে যাচ্ছে PhonePe ব্যবহারের সব নিয়ম

কবে আসছে ২০ তম কিস্তির টাকা?

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, জুন মাসেই জমা পড়বে পরবর্তী কিস্তির টাকা। বিশেষ করে বিহারের ফুলবাড়িয়া অঞ্চলের কৃষকদের আর্থিক সাহায্য এখন সবথেকে জরুরী। কারণ আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে বীজ বোনা বা চাষের জন্য তাদের সরকারের সাহায্য দরকার। 

তবে আবারো জানিয়ে রাখি, ৩০ জুনের মধ্যে যদি ই-কেওয়াইসি না করে থাকেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে কিস্তির টাকা আর আসবে না। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।