সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার বিরাট সুখবর নিয়ে আসলো ইপিএফও। বারবার মোবাইল নম্বর হারানো বা ভুল তথ্যের জেরে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছিল যাদের, তাদের এবার সেই ভোগান্তি শেষ করতে চলেছে ইপিএফও। এবার থেকে ফেস অথেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি চালু হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, এর মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করা যাবে UAN নম্বর।
ডিজিটালি রূপান্তরের পথে এবার ইপিএফও
বর্তমানে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ডিজিটাল পরিষেবায় রূপান্তর ঘটাচ্ছে ইপিএফও। এবার তাদের এই ডিজিটাল পদক্ষেপের নয়া সংযোজন ফেস অথেন্টিফিকেশন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচয় যেমন যাচাই করা সহজ হবে, আগের মত ওটিপি বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের উপরেও নির্ভর করতে হবে না।
কীভাবে কাজ করবে ফেস অথেন্টিকেশন?
ব্যবহারকারীরা এবার থেকে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্যামেরায় মুখ দেখে UAN নম্বর জেনারেট করতে পারবে। এর ফলে আগের মতো ভুল মোবাইল নম্বর বা ভুয়ো তথ্যের জন্য ইপিএফও অফিসে দৌড়োতে হবে না। সবকিছুই হয়ে যাবে ডিজিটালের মাধ্যমে।
UAN জেনারেশন আরো সহজ
ইপিএফও-এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে, এই নয়া পরিষেবা সদস্যদের তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। ফেস অথেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি যেমন ব্যবহারকারীদের তথ্য যাচাই করবে নির্ভুলভাবে, ঠিক তেমনই জালিয়াতি বা ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমাবে।
পেনশনভোগীদের জন্য বিরাট সুখবর
এই ফেস অথেন্টিকেশন শুধুমাত্র UAN তৈরির ক্ষেত্রে নয়, বরং পেনশনভোগীদের জন্য ডিজিটাল জীবন প্রমাণপত্র দাখিলের প্রক্রিয়াকেও আরো সহজ করে তুলবে। My Bharat প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এবার এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়িতে বসেই পেনশন ভেরিফিকেশনের সুবিধা চালু হতে চলেছে ইপিএফও-তে।
আরও পড়ুন: DA Hike: কেন্দ্রের সমান ডিএ! ৫৫% ডিএ ঘোষনা এইসমস্ত কর্মীদের জন্য
এদিকে হিসাব বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ইপিএফও-তে মোট ১.২৭ কোটি UAN নম্বর ইস্যু করা হয়েছে। আর এর মধ্যে ৩৫% সদস্যই তা সক্রিয় করেছেন। এবার এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেকেই এখনো ভুল তথ্য বা আধার যাচাইকরণের কারণে নিজের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করে তুলতে পারেনি।