সন্তান স্কুলে ঢুকলেই বা স্কুল থেকে বেরোলেই সঙ্গে সঙ্গে এসএমএস ঢুকবে অভিভাবকের ফোনে! এমনই ব্যবস্থা চালু হতে শুরু করেছে বাংলার সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে। এভাবেই পড়ুয়াদের অ্যাটেনডেন্স বা উপস্থিতির রেকর্ড নথিভুক্ত হয়ে যাবে ডিজিটালি। ফলে প্রথম পিরিয়ডে ক্লাস টিচারের আর রোল কলের দরকার পড়বে না। ফলে হাত তুলে ‘ইয়েস স্যার’, ‘ইয়েস ম্যাম’ বলতে হবে না পড়ুয়াদের।
জানা গিয়েছে ফেস রিকগনিশন এবং ডিজিটাল স্মার্টকার্ড পদ্ধতিতে এই আধুনিক রোল কলের ব্যবস্থা চালু হচ্ছে স্কুলে স্কুলে। ফলে প্রতিটি পড়ুয়ার উপর একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তার অভিভাবকরা নজরদারি চালাতে পারবেন। কারণ এই নতুন পদ্ধতিতে পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকের ফোনে এসএমএস চলে যাবে।
আবার তারা স্কুল ছুটির পর বাইরে বেরোলেই এসএমএস পেয়ে যাবেন অভিভাবকরা। এই পদ্ধতির ফলে অভিভাবকদের সন্তানকে নিয়ে উৎকণ্ঠা যেমন কমবে তেমনই স্কুল ছুটের সংখ্যাতেও লাগাম পড়ানো যাবে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল।
কিন্তু কীভাবে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ঢোকা এবং বেরোনোর হদিশ সঙ্গে সঙ্গে পাবেন অভিভাবকরা? ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স ব্যবস্থার হাত ধরে এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায়। অনেকে অবশ্য এই ব্যবস্থাটিকে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম বলছেন।
তবে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে যেমন আঙুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স দিয়ে ঢুকতে বা বেরোতে হয়, এক্ষেত্রে তেমনটা ঠিক হবে না। রাজ্যের স্কুলগুলোয় এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি একটু অন্যভাবে চালু হতে চলেছে।
ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স নিশ্চিত করতে প্রতিটি পড়ুয়াকে একটি করে ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে শিক্ষা দফতর এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। সেই ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ডের মধ্যে একটি চিপ লাগানো থাকবে। সেই চিপের মধ্যে অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, স্কুলের অ্যাটেন্ডেন্স সংক্রান্ত সার্ভার লিঙ্ক সবকিছু দেওয়া থাকবে।
এবার স্কুলে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় ওই ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে হাজির হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গলা থেকে ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ড খুলে মেশিনে ঠেকাতে হবে এমনটা নয়। বরং ওই মেশিনের সামনে গলায় ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ড ঝুলিয়ে পড়ুয়ারা হাজির হলেই অ্যাটেনডেন্স নথিভুক্ত হয়ে যাবে। আর সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারের মাধ্যমে এসএমএস গিয়ে ঢুকবে অভিভাবকের মোবাইল ফোনে। তবে বেশ কিছু স্কুল আরও একধাপ এগিয়ে ফেস রিকগনিশন বা মুখের ছবির মাধ্যমে পড়ুয়াদের অ্যাটেনডেন্স নেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে।
নদিয়া জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন, হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে এই পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। গোটা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই অত্যন্ত খুশি।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 সরকারি কর্মীদের জন্য এই বড় উপহার, হোলির আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিল
👉 টাকায় হোলির রঙ লাগলে বাতিল? কিন্তু RBI বলছে অন্য কথা
👉 ৩৩৬০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিল কেন্দ্র, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের জন্য
👉 ৩১ মার্চ শেষ দিন! যা করার এই কদিনেই করুন, সরকার আর সুযোগ দেবে না
👉 ১৬ তম কিস্তির ২০০০ টাকা দিতে শুরু করল সরকার, টাকা না ঢুকলে এটা করুন
👉 DA-এর পর বেসিক পে নিয়েও সুখবর দিল সরকার, লাখ লাখ কর্মীর মুখে হাসি ফুটল