ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। তাঁরা নিজেদের অর্থ এই অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় করে রাখেন। যা বর্তমানের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের দরকারও মেটায়। ফলে প্রত্যেকের কাছেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের গুরুত্ব ও মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু জানেন কি আপনার সামান্য ভুলের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন?
এই দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সবার নিশ্চিত হওয়া উচিত আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট/ অ্যাকাউন্টগুলি সক্রিয় আছে কিনা। কারণ দীর্ঘ সময় আপনি যদি কোনও অ্যাকাউন্টে লেনদেন না করেন তবে সেটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। বর্তমান নিয়মে সাধারণত টানা ২ বছর কোনও সেভিংস বা কারেন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গ্রাহক লেনদেন না করলে ব্যাঙ্ক সেটিকে নিষ্ক্রিয় বলে ধরে নেয়। যাকে ব্যাঙ্কের পরিভাষায় বলা হয় Dormant Account. ফলে সেটি অটোমেটিক বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে পরিণত হয়।
এই অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলেও ব্যাঙ্ক আলাদা করে তার হিসাব রাখে। যতক্ষণ না এটি পুনরায় সক্রিয় হবে ততক্ষণ ওই অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি লেনদেন করতে পারবেন না। সেখানে জমা রাখা টাকা শত দরকারেও তুলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার অ্যাকাউন্টে জমা টাকার উপর ব্যাঙ্কের সুদ প্রদান বা ব্যাঙ্ক ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও চার্জ কেটে নেওয়ার বিষয়টিকে লেনদেনের মধ্যে ধরা হয় না।
অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হওয়া ঠেকাতে কী করবেন?
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হওয়া ঠেকাতে প্রথমেই যেটা করতে হবে আপনাকে এক-দু মাসে অন্তত একবার ওই অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়ায় কোনও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পাঠানো বা প্রয়োজন মতো সেখান থেকে টাকা তোলা খুব একটা সমস্যার নয়। শুধু বিষয়টি মাথায় রাখলেই সহজে হয়ে যায়।
তবে এক্ষেত্রে যদি ভুল হয়ও অর্থাৎ ২ বছরের বেশি যদি কোনও অ্যাকাউন্টে লেনদেন না করেন সে ক্ষেত্রে ইউপিআই ব্যবহার করে পেমেন্ট, টাকা জমা দেওয়া বা টাকা তোলা, চেক ভাঙানো, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কিছুই কিন্তু করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন লেনদেন ছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সক্রিয় রাখার মেয়াদ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। তবে তা সাধারণত এক বছর থেকে দু’বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে কী করতে হবে?
দীর্ঘদিন লেনদেন না করার ফলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তবে বিষয়টি ঠিক করতে আপনাকে ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে হবে। সেখানে গিয়ে নতুন করে KYC নথি জমা দিয়ে আবার অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করতে পারবেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আগের কর্মস্থলের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। পরবর্তীতে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। ফলে দূরে হওয়ায় আগের অ্যাকাউন্টটিতে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনি অ্যাকাউন্ট নিকটবর্তী শাখায় ট্রান্সফার করে নিতে পারেন। এর জন্য পুরনো শাখায় গিয়ে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের আবেদন জমা দিয়ে দ্রুত কাজটা করে ফেলা যাবে।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 ভোটের মুখে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ উপহার
👉 স্কুলে আর হাত তুলে ‘ইয়েস স্যার’ বলতে হবেনা! নতুন এই নিয়মে বাবা মায়েরাও খুশি
👉 সরকারি কর্মীদের জন্য এই বড় উপহার, হোলির আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিল
👉 টাকায় হোলির রঙ লাগলে বাতিল? কিন্তু RBI বলছে অন্য কথা
👉 DA-এর পর বেসিক পে নিয়েও সুখবর দিল সরকার, লাখ লাখ কর্মীর মুখে হাসি ফুটল