“সারা পৃথিবীতে আমরাই প্রথম।” লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakhsmir Bhandar) নিয়ে ফের মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রাম ও ফুলবাড়ীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মুখে বারবার গর্বের সুরে শোনা গেল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের নাম।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, লক্ষীর ভান্ডার সারা ভারতে নয়, বরং সারা পৃথিবীতেই প্রথম আমরা চালু করেছি। আর এই প্রকল্প সারা জীবন ধরেই চালু থাকবে। তার এই মন্তব্য শুধুমাত্র প্রকল্পের সাফল্য নয়, বরং রাজনীতিতেও আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল। প্রথমে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ গৃহবধূদের ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হতো।
তবে কিছুদিন পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে যে, সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১২০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, এখন এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ১২০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন।
ডাবগ্রাম থেকে বিরাট ঘোষণা
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আর এখন সেটা দেখেই অনেকে অনুসরণ করছে। তবে আমরা থামবো না। সারা জীবন ধরেই এই প্রকল্প চালিয়ে যাব। আর এই মন্তব্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আমি আদালতের মামলার বিষয়ে কিছু বলবো না’, ডিএ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
বাকিরা অনুকরণ করছে লক্ষীর ভান্ডারকে
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, এই প্রকল্প শুধুমাত্র ভারতের রাজ্যগুলি নয়, বরং বিদেশের অনেক সরকারও রোল মডেল হিসেবে দেখছে। সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তবে এই জনমোহিনী প্রকল্প ঘিরে খয়রাতের রাজনীতি নিয়ে উঠছে নানারকম প্রশ্ন। এমনকি আদালত নজরও রাখছে সেদিকে।