Mamata Banerjee about CAA: বাংলায় CAA হবেনা? ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সোমবার রাতেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গিয়েছে CAA. মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি নির্দিষ্ট পোর্টালে CAA-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

যথারীতি সিএএ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। দেশের বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওবার এই উপায় ভারতীয় সংবিধানের মূল পথের পরিপন্থী। বিষয়টি নিয়ে গর্জে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আসলে NRC করার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি কিছুতেই বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে CAA লাগু করে বিরাট চাল চেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার বিকেলে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA) কার্যকর করা নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

CAA Act Implement in India

২০১৯ সালে সংসদে পাস হওয়া সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিপীড়নের শিকার হয়ে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় নেবেন, তাঁদের কোনরকম নথিপত্র ছাড়াই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘু বলতে কাদের বলা হচ্ছে সেটাও CAA-তে নির্দিষ্ট করা আছে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিশ্চান, জৈন, শিখ ও পার্সি-রা যদি ধর্মীয় নিপীড়ন বা অন্য কোন‌ও অত্যাচারের কারণে নিজেদের বাঁচাতে ভারতে এসে আশ্রয় নেন। তবে তাদের CAA আইনে আবেদন করলেই নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই আশ্রয় নেওয়ার সময়টা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাধারণত ভারতে আশ্রয় নেওয়ার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম হল, এদেশে টানা ১ বছর থাকতে হবে এবং শেষ ১৫ বছরের মধ্যে ১১ বছর বসবাস করতে হবে। কিন্তু CAA-তে ওই তিন দেশ থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১১ বছরের সময়সীমাটা কমে মাত্র ৫ বছর করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যদি কোন‌ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন তবে তিনি CAA-র অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।

কিন্তু সিএএ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। একে তো ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদের একাংশ, পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই নাগরিক তাঁদের আবার নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি কীভাবে সম্ভবপর হবে সেই প্রশ্ন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে তিনি সিএএ-কে একটি বৈষম্য ষমূলক আইন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বলেন, এর মাধ্যমে এনআরসি নিয়ে এসে নাগরিকত্ব খারিজ করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি কিছুতেই বাংলার বুকে NRC হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি মতুয়াদের বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিক, যাদের ভোটে জিতে বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্ব কীভাবে দেওয়া হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিএএ-এর তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আইনের ধারাগুলি প্রকাশ্যে আনার পর সেটা দেখে তিনি বাকি মন্তব্য করবেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলার বুকে কিছুতেই এনআরসি হবে না। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানান। ভোট এলেই সিএএ-এর ‘মূলো’ ঝুলিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়, এমনটাই মন্তব্য বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের।

🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

WhatsApp Group: Join Now

🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇

👉 সারা দেশে চালু হয়ে গেল CAA, এবার কী হবে?

👉 জিওর পর আর ১ বড় চমক আম্বানির, এটি এনে আবার সবাইকে চমকে দিলেন

👉 এতদিন উত্তর ভারতে ছুটি থাকত, এবার পশ্চিমবঙ্গেও এইদিন ছুটি থাকবে

👉 এবার DA বাড়ালো মোদি সরকার, কত ছিল কত হলো?

👉 চাষের ক্ষতি হলে টাকা দেবে সরকার! এইভাবে আগেভাগে আবেদন করুন

Leave a Comment