এক রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য থেকে তৈরি হল বেশ কিছু চমক। করোনা মহামারির সময় দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলিকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার বিনা বন্ধকে ঋণ দানের প্রকল্প ইমারজেন্সি লাইন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম নিয়ে এসেছিল।
দেখা যাচ্ছে তাতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বাংলার ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি। কিন্তু সংখ্যার নিরিখে বাংলার সংস্থাগুলি শীর্ষস্থানে থাকলেও অর্থের নিরিখে তাদের স্থান দেশের মধ্যে পাঁচ নম্বরে!
করোনা মহামারীর সময় দেশের ক্ষুদ্র বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে টিকে থাকার জন্য সাহায্য করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ইমার্জেন্সি লাইন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করে। তাতে প্রথম পর্যায়ে সরকার ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পরবর্তীতে সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়। সম্প্রতি আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এমার্জেন্সি লাইন ক্রেডিট স্কিম তহবিলের মোট পরিমান ৫ লক্ষ কোটি টাকাতে নিয়ে গিয়েছে।
দেখা যাচ্ছে করোনার সময় থেকে গত ৭ মার্চ, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ঋণ বা লোন পেয়েছেন দেশের ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৯ জন। প্রায় সোয়া এক কোটি মানুষ এই প্রকল্পে বিনা বন্ধকে সরকারের থেকে ঋণ হিসেবে পেয়েছেন ২,৪২,৭৬৮.৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রের বরাদ্দের অনেকটা টাকাই এখনও ব্যবহৃত হয়নি।
এই প্রকল্পে মোট ঋণ প্রাপকের ১৭.৬৫ শতাংশই হল পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যার সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষের বেশি। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। বাংলার প্রায় অর্ধেক মানুষ মারাঠাভূম থেকে এই প্রকল্পে ঋণ পেয়েছে, তাঁদের সংখ্যা মোট সুবিধাভোগীর ৮.৫৬ শতাংশ।
এছাড়াও ওড়িশার থেকে ৮.১৫ শতাংশ, তামিলনাড়ুর ৭.৬৯ শতাংশ এবং কর্ণাটকের ৭.৬৭ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঋণ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট এই প্রকল্পে সুবিধাভোগের সংখ্যার নিরিখে বাংলা অনেকটাই এগিয়ে আছে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের থেকে মহারাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষ কেন্দ্রের এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেলেও অর্থের নিরিখে তাঁরাই একেবারে শীর্ষে অবস্থান করছে। মহারাষ্ট্রের সংস্থাগুলিকে এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে ৩৪,১০৭.৫৩ কোটি টাকা।
তাদের পর যে রাজ্যগুলি এই প্রকল্পে সাহায্য প্রাপ্তির নিরিখে স্থান করে নিয়েছে সেটা এরকম-
তামিলনাড়ু (২৭,১৪১.৪৯ কোটি টাকা), গুজরাট (২৪,৪৯৩.৯৫ কোটি টাকা), উত্তরপ্রদেশ (১৭,১১০.৮৪ কোটি টাকা), কর্ণাটক (১৬,০৫৭.২০ কোটি টাকা), পশ্চিমবঙ্গ (১৩,৭৪৫.৭১ কোটি টাকা)।
ফলে দেখতেই পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সাহায্য প্রাপকের সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটা এগিয়ে থাকলেও মোট আর্থিক সাহায্যের নিরিখে তারা বেশ কিছুটা পিছিয়ে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে মাথাপিছু অনেক কম ঋণ পেয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হল সেই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 ন্যূনতম মজুরি বলে আর কিছু থাকবে না, এর বদলে লিভিং ওয়েজ চালু করবে সরকার
👉 সরকারের খরচ হবে ২৪০০ কোটি টাকা, কিন্তু লাভবান হবে ১৪ লাখ মানুষ
👉 আর সিম কার্ড লাগবে না! এয়ারটেল থাকলেই এইভাবে কথা বলা যাবে
👉 ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা যাবেনা, এতদিন টাকা লেনদেন না করলে
👉 ভোটের মুখে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ উপহার