চিনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে একসময় এক সন্তান নীতি চালু করেছিল সেখানকার কমিউনিস্ট সরকার। যার পক্ষে-বিপক্ষে বহু আলাপ আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের এই জনবিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণে আনতেও অনেক শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষেই মত দিয়ে থাকেন।
আপনার অলক্ষেই এবার দেশ একটু একটু করে সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি সন্তান থাকলে আর এই রাজ্যে সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে না! কোন রাজ্যের কথা বলা হচ্ছে? কতজন সন্তান থাকলে তবে সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে? আসুন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে গোটা প্রতিবেদনটা পড়া যাক।
সরকারি চাকরি পেতে চান? তাহলে দেশের এই নির্দিষ্ট রাজ্যটির বাসিন্দা হলে ভুলেও দুটির বেশি সন্তানের জন্ম দেবেন না। কারণ তৃতীয় সন্তান জন্ম নিলেই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনি সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ থেকে পরিস্কার বঞ্চিত হবেন। এমন আইন ১৯৮৯ সাল থেকে প্রচলিত আছে মরু রাজ্য রাজস্থানে। এবার তাতে সিলমোহর দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রাজস্থান সরকারের দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে না, এই আইনের বিরুদ্ধে প্রথমে রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেখানে সরকারের পক্ষেই রায়দান করেছিলেন বিচারপতি।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন জওয়ান রামজি লাল জাট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। ফলে এবার ব্যাপকভাবে রাজস্থান সরকার তাদের এই প্রচলিত আইনটি লাগু করতে পারবে।
২০১৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা রামজি লাল জাট। এরপর তিনি অনেকের মতই রাজস্থান পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু রাজস্থান পুলিশ সাবঅর্ডিনেট সার্ভিস রুলস, ১৯৮৯ অনুযায়ী তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ২০০২ সালের ১ জুনের পর থেকে তাঁর দুইয়ের বেশি সন্তান আছে বলে দেখা যাচ্ছে। তাই রাজ্যের আইন অনুযায়ী তিনি সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য যোগ্য নন।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ও তাকে বৈষম্যকারী আখ্যা দিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রামজি লাল জাট। কিন্তু ২০০২ সালে এক রায়ে রাজস্থান হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, সরকারের আইন মোটেও বৈষম্যমূলক নয়, তা নীতির মধ্যেই আছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই প্রাক্তন সেনা সদস্য।
সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত, দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শেষে রাজস্থান হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখেন। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “এই আইন নীতির পরিধির অন্তর্গত। এতে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই।”
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 বাংলায় CAA হবেনা? ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা?
👉 জিওর পর আর ১ বড় চমক আম্বানির, এটি এনে আবার সবাইকে চমকে দিলেন
👉 সারা দেশে চালু হয়ে গেল CAA, এবার কী হবে?
👉 চাষের ক্ষতি হলে টাকা দেবে সরকার! এইভাবে আগেভাগে আবেদন করুন
👉 এতদিন উত্তর ভারতে ছুটি থাকত, এবার পশ্চিমবঙ্গেও এইদিন ছুটি থাকবে
👉 এবার DA বাড়ালো মোদি সরকার, কত ছিল কত হলো?