হঠাৎ এই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর সঙ্কট। আদৌ গরিব মানুষ সঠিক করে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ তৃণমূল স্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মূলত যাদের উপর দাঁড়িয়ে থাকে সেই আশা কর্মীরা এবার কর্ম বিরতির পথে হাঁটতে শুরু করেছেন। প্রায় ৫০ হাজার আশা কর্মী লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এই পথে হাঁটার কথা জানিয়েছেন। এর ফলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেরই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা গর্ভবতী মা, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, সংক্রামক রোগ সহ জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এদিকে তাঁদের কাজের ধরণ অনুযায়ী প্রতি মুহূর্তে আমজনতা থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়।
সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের কাছে নিয়মিত ভিত্তিতে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ডিজিটালি পাঠানো হয়। তাই রাজ্য সরকার তাঁদের একটি করে স্মার্টফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অনেক জায়গায় বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ।
এছাড়াও আরও বহু অভিযোগ আছে আশা কর্মীদের। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেতন বৈষম্যের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন তাঁরা। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাঁদের চিকিৎসক এবং নার্সদের হাতে বহু সময় হেনস্তার শিকার হতে হয় বলে আশা কর্মীদের অভিযোগ।
কাজের চাপ দিনকে দিন বেড়ে চললেও বেতন সেই অর্থে বাড়েনি বলে জানিয়েছেন আশা কর্মীরা। উল্টে তাঁদের অন্যান্য নানান বিষয়ে অফিশিয়াল দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আশা কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের ডিএ দেওয়া হয় না, সেটা দরকারও নেই। কিন্তু প্রতি মাসে একটা সম্মানজনক ভাতা দেওয়া হোক। না হলে এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে বাংলার আশা কর্মীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এই কাজ করার জন্য তাঁদের পদে পদে হেনস্তার শিকার হতে হয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের দ্বারা। যখন ইচ্ছে তারা মিটিং-মিছিলে হাজির হওয়ার ফরমান দেন। তা মানতে বাধ্য হতে হয় বেশিরভাগ আশা কর্মীকেই।
বারবার এই বিষয়গুলো প্রশাসনের নজরে আনলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলেশহীন বলে দাবি আশা কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে তাঁদের দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলায়। প্রতিটি ব্লকে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। কর্মবিরতির পথেও হাঁটার কথা জানিয়েছেন। এতেও কাজ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে আশা কর্মীদের এই আন্দোলনের জেরে তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে বলে অনেক জায়গা থেকে জানা গিয়েছে। আর গোটা ঘটনায় সবচেয়ে বিপদে পড়ছেন রোগীরা।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 এই মার্চ মাসে ছুটির শেষ নেই! কবে কবে ছুটি তালিকা দেখুন
👉 চাকরি থাক বা না থাক, এই ৫ টি কাজ করলে টাকার অভাব হবেনা
👉 ১০,৬৯২ কোটি টাকা পেল আমাদের রাজ্য! কিসের জন্য এলো এত টাকা?
👉 লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বাড়তি টাকা এই মাসে কি ঢুকবে? আসল বিষয়টি জেনে নিন
👉 আর লাগবেনা ৯০০ টাকা! এবার মাত্র ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার
👉 এটিই এই কোম্পানির শেষ ফোন! আর কোনো ফোন লঞ্চ হবেনা