২০২৫ সালের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাংকিং পরিষেবায় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষত ইউকো ব্যাংক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক নিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পাঁচটি সরকারি ব্যাংকের উন্নয়ন এবং তহবিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকার এই পাঁচটি ব্রিহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য QIP (Qualified Institutional Placement) অনুমোদন করেছে। প্রতিটি ব্যাংকের প্রায় ২০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত QIP সংগ্রহ করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি চলতি ত্রৈমাসিকের মধ্যেই শুরু হতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
QIP কী এবং এর গুরুত্ব
QIP (Qualified Institutional Placement) হল একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কোম্পানি বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দেশীয় বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করে। এটি একটি সহজ এবং ব্যয়বহুল পদ্ধতি, যা সংস্থাগুলিকে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে সাহায্য করে থাকে।
- QIP (Qualified Institutional Placement) এর মাধ্যমে শেয়ার বীমা কোম্পানি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডগুলিতে ইস্যু করা যায়।
- QIP এর জন্য বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI-এর অনুমোদন প্রয়োজন হয় না, যা এটি আরো সহজ এবং দ্রুত কার্যকর করে তোলে।
- QIP এর দাম স্ট্রকের দুই সপ্তাহের গড় মূল্যের চেয়ে কম হতে পারে না, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই লাভজনক।
কোন ব্যাংকের শেয়ার কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে?
- পাঞ্জাব এন্ড সিন্ড ব্যাঙ্ক- ভারতের এই ব্যাংকের শেয়ার মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়ে ৪০.৬০ টাকা হয়েছে।
- ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক- এই ব্যাংকের শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬.৮৫%, যা বর্তমানে ৫৩.১১ টাকায় লেনদেন করা হচ্ছে।
- ইউকো ব্যাংক- এই ব্যাংকের শেয়ার ১৪.৪% বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪.৩২ টাকা হয়েছে।
- সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া- এই ব্যাংকে ১৯.৯৭% শেয়ার বৃদ্ধি হয়ে ৫৫.৭৬ টাকায় লেনদেন করা হচ্ছে।
- ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র- এই ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫% এবং বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৬৭ টাকা।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
এই পাঁচটি ব্যাংকের উন্নয়নের জন্য এবং আরো বেশি পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষত নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলির আর্থিক অবস্থান এবার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: বাংলার কৃষকদের জন্য সুখবর, মুখ্যমন্ত্রী শস্য বিমা প্রকল্পে ৯ লক্ষ কৃষককে ৩৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে
বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধা
কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীরা ভালো শেয়ারের মূল্য পাবেন। সরকারের এই পদক্ষেপ ব্যাংকগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়াবে এবং আর্থিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে। বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহক, উভয়ের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। বছরের শুরুতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামাকে আরো শক্তিশালী করবে।