এখন সিম কার্ড বা মোবাইল নম্বরের গুরুত্ব এতটাই বেড়ে গেছে যে, মোবাইল নম্বরের সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে আধার নম্বর সংযুক্ত করা থাকে। যে জন্য কোনও ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার যদি হাতছাড়া হয়ে গিয়ে অন্য কারোর হাতে চলে যায় তাহলে তার অনেকগুলো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এমনকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ও রাতারাতি ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারে। একাধিক নথি হারিয়ে যেতে পারে।
আর এই সকল গুরুত্বপূর্ণ কারণেই এইবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সিমকার্ড নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করা হচ্ছে আর সেই নিয়মে আগামী ১ জুলাই থেকে কিছু নতুন সংযোজন হতে পারে যে কারণে কতগুলি ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে, তবে গ্রাহকদের নথিপত্র থেকে শুরু করে টাকা পয়সা বিষয়ক ক্ষেত্রগুলিতে চিন্তা করবার কোন কারণ নেই কারণ সেগুলো সুরক্ষিত থাকবে।
সিমকার্ডের ক্ষেত্রে নতুন একটি নিয়ম জারি করা হচ্ছে, এই নিয়ম মূলত মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি অর্থাৎ এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে যাওয়ার ক্ষেত্রে হচ্ছে। তবে বর্তমানের সেই নিয়ম আগের নিয়মের তুলনায় বেশ কঠিন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি যদি তার সিম কার্ড কোন কারণে হারিয়ে ফেলেন বা তার সিম কার্ড যদি খারাপ হয়ে যায়, তাহলে দোকানে বা সেন্টারে গেলেই তিনি নতুন সিম কার্ড পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে পুরোনো নিয়মের মতোই গ্রাহকরা নিজেদের ডকুমেন্ট নিয়ে গেলেই নতুন সিম কার্ড পেয়ে যাবেন। এরপর সিম সোয়াপ অর্থাৎ সিম পরিবর্তন করার পর মোবাইল নম্বর পোর্টিবিলিটি করা যাবে না।
আরো পড়ুন: T20 বিশ্বকাপ ভারত তো জিতলোই, কিন্তু কে কত টাকার প্রাইজ পেলো?
এই ক্ষেত্রে সিম সোয়াপ করার পর লকিং পিরিয়ড শুরু হয়ে যাবে। এই লকিং পিরিয়ড সাত দিনের জন্য রাখা হয়েছে। এই ৭ দিন পর গ্রাহকরা নিজেদের নম্বর পোর্টিবিলিটি করতে পারবেন। এমন অবস্থায় এটা করা হয়েছে, যাতে প্রতারণার মতো ঘটনা না ঘটে।