টোটো চালক এবং টোটোতে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে চলাচল করে অভ্যস্ত প্রত্যেক ব্যক্তিদের চাপ বাড়ল। অনিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচল বন্ধ করতে চাইছে প্রশাসন। লাগাম টেনে ধরল এবার।
প্রশাসনের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্রমে বেড়ে চলা অনিয়ন্ত্রিত টোটো চালকদের রাশ টানতে আগেই কিউআর কোড চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সেভাবে লাভ হয়নি।
বারাসাত এলাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচল করা টোটো ক্রমেই কিউআর কোড ছাড়াই ছুটে বেড়াচ্ছে, যা এবার নজর টেনেছে কর্তৃপক্ষের।
অনেকদিন ধরেই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। এদিন তাই বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করল প্রশাসন। অন্যভাবে নজরদারি চালানো হল।
স্বাভাবিকভাবেই, এমন আচমকা নজরদারির ফলে সমস্যায় পড়লেন টোটো চালকরাও। কিউ আর কোড ছাড়া যাঁরা ছুটছিলেন, তাঁদের থামানো হল।
কিউ আর কোড না থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই চালকদের দাবি, টোটোর কিউআর কোড পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই টাকা-সহ আবেদন জমা করা হয়েছে, তাও এখনও মেলেনি কিউআর কোড। অনেক টোটোই আবার ইউনিয়নের লোগো লাগিয়ে যাত্রী পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
তাহলে কিউ আর কোড বিহীন টোটোর চলাচল বন্ধ করবে প্রশাসন?
কিউ আর কোড-এর জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এখনও কোড আসেনি বলে, ইউনিয়নের লোগো দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কিউআর কোড পেয়ে যাবেন নতুন চালকরা। এর জন্য কোনও অতিরিক্ত টাকাও নেওয়া হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন বারাসত টোটো ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা তাপস দাশগুপ্ত।
তবে, যতদিন না কোড আসছে, ততদিন কি প্রশাসনের এমন কড়াকড়িতে বন্ধ হবে নতুন চালকদের ব্যবসা! নাহ, কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়লেও, চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।
আরো পড়ুন: পিএম কিষাণের টাকা তো দিচ্ছেই, এবার কৃষকদের জন্য বড়সড় আর ১ সুখবর
সাধারণ টোটো যাত্রীরা অবশ্যই আগের মতো যাত্রী পরিষেবা নিতে পারবেন। তবে, আবারও প্রশাসনের নিয়ম অমান্য করলে, আগামী দিনেও এমন নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি, এই কিউ আর কোড সংক্রান্ত নজরদারি চালানো হয়েছিল বারাসাতে। বারাসত মোটর ভেহিকেলস দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এদিন বারাসাতের প্রাণকেন্দ্র চাপাডালি মোড়ে কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছিল। আরটিও দফতর ও বারাসাত থানার পুলিশ এদিন পথ চলতি টোটো চালকদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।