এইবার চালু হয়ে যাবে আধার নির্ভর যাচাই প্রক্রিয়া। পুরো দেশ জুড়ে এই প্রক্রিয়া চালু করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন যে, ভুয়ো ইনভয়েসে লাগাম টানতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া চালু হবে, একবারেই দেশের সর্বত্র চালু করা হবে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আরো জানান যে, “পুরো দেশেই বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হবে।”
কিন্তু কেন লাগু হচ্ছে এই বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার যাচাই প্রক্রিয়া? অর্থমন্ত্রী এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ভুয়ো ইনভয়েসের মাধ্যমে যে ক্লেম করা হয়, সেই সব কিছুতে লাগাম টানতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে গুজরাট ও পুদুচেরিতে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে,“গুজরাট ও পুদুচেরিতে আমরা পাইলট প্রজেক্ট চালিয়েছি। আর সেখান থেকে খুব ভালো প্রতিক্রিয়া মিলেছে।”
উল্লেখ্য, জিএসটি আইনের ৭৩ ধারার আওতায় একটি ডিমান্ড নোটিশ জারি করা হয়েছিলো, যার ক্ষেত্রে সুদ ও জরিমানা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে জিএসটি কাউন্সিল। একই সাথে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন জালিয়াতি বা কারচুপির বিষয় নেই, এরকম ক্ষেত্রে ও একইরকম সুযোগ প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে এই আধার নির্ভর যাচাই প্রক্রিয়া এক লপ্তে নয় ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে এই বিষয়টি পরিষ্কার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই পরিস্থিতিতে ধাপে-ধাপে ভারত জুড়ে আবেদনকারীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় বায়োমেট্রিক-ভিত্তিক আধারের তথ্য যাচাই করার প্রক্রিয়া চালু করার সুপারিশ করেছে জিএসটি কাউন্সিল।”
আরো পড়ুন: ২০০০ শূন্যপদে চাকরি রাজ্যে, কোথায় কোথায় নিয়োগ হবে দেখুন
এছাড়া তিনি আরো বলছেন যে, ছোট করদাতাদের স্বার্থে GSTR-4 অর্থাৎ গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স রিটার্ন ফর্মের ক্ষেত্রে তথ্য জমা দেওয়া ও রিটার্ন দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। আগে জানা গিয়েছিল যে, রিটার্ন জমা দেওয়ার এই সময়সীমা ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত, বর্তমানে সেই সময় সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন করার সুপারিশ করেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে শোনা যাচ্ছে।