রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য বিরাট সুখবর নিয়ে আসলো রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় এবার সমস্ত সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ৫৩ শতাংশ থেকে ডিএ বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আর এই পরিবর্তন কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে।
কারা এই সুবিধা পাবেন?
জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার পরিচালিত দপ্তরের কর্মচারীরা, পাশাপাশি সিভিল এবং পারিবারিক পেনশনভোগীরা এবং স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মচারীরা এই ডিএ বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরাও এই ডিএ বৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারবেন বলেই জানানো হয়েছে।
ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে?
গত কয়েক মাস ধরেই কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে আলোচনা চলছিল। আর এবার রাজ্য সরকার তা বাস্তবে রূপ দিয়েছে। হ্যাঁ, ২% ডিএ বৃদ্ধি মানে কর্মচারীদের জীবনযাপনের মান আরও উন্নত হবে। পাশাপাশি মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে তাদের। আর এটি কেবলমাত্র কর্মচারীদের আর্থিক স্বস্তি নয়, বরং সরকারি কাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধতা বাড়াবে।
অবকাঠামো উন্নয়নে বিরাট পদক্ষেপ নিল মুখ্যমন্ত্রী
জানিয়ে রাখি, এই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পক্ষ থেকে। শুধু কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষা নয়, বরং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নেও বিশেষ নজর দিয়েছে ধামি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। যেখানে তহবিল বরাদ্দও করা হয়েছে। আর তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো-
- চম্পাওয়াত জেলায় একটি নতুন তহশীল ভবনের জন্য ১৩.৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
- আলমোড়া জেলার লমগ্রা তহশীল ভবনের জন্য ৩.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
- উধম সিং নগর জেলার কোন্নগরে গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্টের সম্প্রসারণের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
- পিথোরাগড় জেলার কানালিছিনা তহশীল চত্বরে পার্কিং এবং চারদিকের দেয়াল ও রোড নির্মাণের জন্য ২.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড নিয়ে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশ! লিংক করা হয়ে গেলেও জানুন
আর এই সমস্ত প্রকল্প রাজ্যের পরিবহন ও প্রশাসনিক পরিকাঠামাকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে বলেই মনে করছে রাজ্যের সাধারণ মানুষরা। এমনকি সাধারণ মানুষও এই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাবে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের এই একাধিক কর্মসূচি যেমন কর্মচারীদের লাভবান করবে, তেমন রাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যেও বিরাট অবদান রাখবে। বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনিক পরিকাঠামো এবার যে উন্নত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।