ব্যাপক দুর্নীতি করে নিয়োগের অভিযোগে কদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলকে বাতিল ঘোষণা করেছে। এর ফলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি মুহূর্তের মধ্যে বাতিল হয়ে গিয়েছে। এক ধাক্কায় এত বিপুল সংখ্যক সরকারি চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার ব্যাপক সামাজিক প্রভাব পড়েছে বাংলার উপর। কিন্তু তারই মধ্যে বিরাট বড় চমকের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মূলত তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে এসএসসি কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে লোকসভা ভোটের সময় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। যদিও তারা চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই রায় চ্যালেঞ্জ করবে বলে ঘোষণা করেছে।
তবুও তাতে সমালোচনার মুখ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শাসক দল। এর প্রভাব চলতি লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে পড়তে পারে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের একাংশের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিরাট বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুনঃ ১৮,০০০ টাকা প্রতি মাসে সবাইকে দেবে সরকার! দিলে তো ভালোই হয়, কিন্তু সত্যিই কি?
মুখ্যমন্ত্রী ভরা সভা থেকে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি আছে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এগোনো সম্ভব হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ১০ লক্ষ চাকরির ঘোষণা শুনে দেশ সাড়া পড়ে গিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই এই ঘোষণায় আশার আলো দেখছেন। তবে রাজ্যের বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণাকে রীতিমত কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা তুলে ধরে কোথা থেকে এত বিপুল সংখ্যক কর্মীর বেতনের টাকা আসবে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অপরদিকে রাজ্যের প্রাক্তন শাসক দল সিপিএমের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করা হয়েছে, এই ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ রাজ্য সরকারের স্থায়ী পদে হবে নাকি সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রিন পুলিশ ইত্যাদির মত কয়েকটি ‘লাড্ডু’ ঝুলিয়ে দিয়ে বলা হবে সকলকে চাকরি দেওয়া হয়েছে?
আরো পড়ুনঃ গরম তো পড়ছেই! এই সুযোগে কারেন্টের দাম বাড়ালো এই কোম্পানি
বামেদের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে বর্তমান সরকার যে কাজ করছে তাতে মানুষের কল্যাণ হচ্ছে না। বরং সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রের থেকেও কম বেতন দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করছে বলে তাদের অভিযোগ।