দেশের খেটে খাওয়া কৃষকের আর্থিক সাহায্য (Farmer Scheme) করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দারুণ দুটি স্কিম চালু করেছিল। আর সেগুলি হল প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা আর কিষাণ মানধন যোজনা। তবে এই দুটি স্কিম যদি একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ৬০ বছর বয়সের পর বাড়িতে বসে ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। কিন্তু কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পিএম কিষান যোজনা
পিএম কিষান সম্মান নিধি আওতায় সরকার প্রতিবছর ৬০০০ টাকা করে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা করা হয়। তবে হ্যাঁ, বছরে তিনটি কিস্তিতে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়। আর প্রত্যেক কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে এই প্রকল্পের ২০ তম কিস্তি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে। তাই যারা এখনো এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেননি, তাদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের নাম চেক করে নিতে হবে যে, তালিকায় নাম আছে কিনা।
তবে অনেকেই জানে না যে, পিএম কিষান স্কিমে যুক্ত থাকার পরেও সরাসরি পিএম কিষান মানধন যোজনায় যুক্ত হওয়া যায়। ফলে শুধু ৬০০০ টাকা নয়, বরং আরো ৩৬,০০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন প্রতি বছর। তবে হ্যাঁ, আপনার বয়স ৬০ বছর হতে হবে।
আরও পড়ুন: বায়োমেট্রিক ছাড়া আর মিলবে না গ্যাস সিলিন্ডার! বিপাকে সাধারণ মানুষ
পিএম কিষণ মানধন যোজনা
জানা যাচ্ছে, এই স্কিমটি মূলত ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী কৃষকদের জন্য। তবে রেজিস্ট্রেশনের পর সরকার আপনাকে ৬০ বছর পর্যন্ত মাসিক ছোট্ট একটি কন্ট্রিবিউশন করতে বলবে, যা মাসে ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এর ফলে আপনি ৬০ বছর বয়সের পর মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। অর্থাৎ, বছরের ৩৬,০০০ টাকা করে সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
বলে রাখি, পিএম কিষাণ যোজনায় আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলেও নতুন করে কোনোরকম ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে না মানধন যোগ দেওয়ার জন্য। এমনকি এই পেনশন স্কিমের জন্য যে মাসিক কন্ট্রিবিউশন দিতে হবে, তা আপনি চাইলে পিএম কিষানের ৬০০০ টাকার অনুদান থেকেই মেটাতে পারবেন।
তাই এখনই নিকটবর্তী কোনও কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এই স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন এবং সঙ্গে আধার কার্ড ও ব্যাংকের পাসবুক নিয়ে যান, যাতে অবসর জীবন নিয়ে আর কোনোরকম চিন্তার কারণ না থাকে।