ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় টু হুইলার ও ফোর হুইলার গাড়ি চালানোর আনন্দ উপভোগ করুন! এতোটুকু পড়ে হয়ত ভাবছেন মজা করছি? কিন্তু না, সত্যিই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই এবার ভারতের রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে। এমনকি আরটিও-তে গিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা বা নম্বর প্লেট নেওয়ার ঝক্কিও আর পোহাতে হবে না। তবে তার জন্য কটা শর্ত মানতে হবে।
আপনি বাইক বা স্কুটির মতো দু চাকার গাড়ি হোক বা চার চাকা যেকোনো গাড়ি নিয়েই ভারতের রাস্তায় বের হলে কাছে লাইসেন্স রাখা বাধ্যতামূলক।
লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে গিয়ে যদি ট্রাফিক পুলিশ বা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তবে এই ব্যক্তির ৫ হাজার টাকা গচ্চা যাবে। কারণ সঙ্গে সঙ্গে চালান কাটবে পুলিশ। এবার ওই টাকাটা দিতে না চেয়ে আপনি যদি তর্কাতর্কি করেন সে ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক আরও বাড়বে। যে দেশের ট্রাফিক আইন এতটা কড়া সেখানেই কিনা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে! ব্যাপারটা ঠিক কী?
আরো পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই ভোটার কার্ডের ছবি বদলান, এইভাবে ঘরে বসেই
লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালানোর এই সুযোগ কেবলমাত্র ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল বা EV-এর ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে। তবে সব বৈদ্যুতিন গাড়ির ক্ষেত্রেও এই সুযোগ মিলবে না। কেবলমাত্র যে সমস্ত ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ কিমি সেগুলোর ক্ষেত্রেই লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর সুযোগ পাওয়া যাবে।
টু হুইলার এবং ফোর হুইলার উভয় ক্ষেত্রেই বেশ কিছু বৈদ্যুতিন গাড়ির গতিবেগ ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে আছে। এগুলো কেনার পর রাস্তায় চালানোর আগে আরটিও-তে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার দরকারও পড়বে না।
বাজারে ইতিমধ্যেই নামি দামি কোম্পানির বেশ কিছু স্কুটি চলে এসেছে। যেগুলোর গতিবেগ এই নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে আছে। এক্ষেত্রে অল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য অনেকেই লাইসেন্স করা এবং রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা এড়াতে এই টু হুইলারগুলো কিনছেন। TVS XL 100, Hero Electric Dash, Okina Electric ও Hero Pleasure Plus হলো এমনই নির্ধারিত মাত্রার গতিবেগের মধ্যে থাকা কিছু জনপ্রিয় টু হুইলার।
আরো পড়ুনঃ রেলের একেবারে নতুন নিয়ম, এবার আর সিট নিয়ে ঝামেলা হবে না
এই ধরনের টু হুইলারগুলো সচল রাখতে গাড়ির ব্যাটারিতে চার্জ দিতে হয়। তবে ইলেকট্রিক বাইক বা দ্রুতগতির গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়মের এমন কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না। ফলে আপনিও বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন।