এখন রান্নার প্রধান জ্বালানি হল এলপিজি সিলিন্ডার। যাকে আমরা সহজ কথায় গ্যাস সিলিন্ডার বলে থাকি। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে ভারতবর্ষে প্রায় ৩৩ কোটি বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডারের কানেকশন আছে। এর বাইরে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড সেন্টার, ক্যাটারারের আলাদা করে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডার বা গ্যাস সিলিন্ডার থাকে।
সব মিলিয়ে বর্তমানে খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা বাড়ির রান্না করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বাদে অন্য কিছু ব্যবহার করেন। শহরাঞ্চলে তো এমন কিছু দেখতে পাওয়াই যাবে না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি আপনার বাড়িতে যে গ্যাস সিলিন্ডার আসে তার রং কেন লাল হয়?
একটা কথা জেনে রাখুন, কলকাতায় থাকা আপনার বাড়িতে যে গ্যাস সিলিন্ডার আসে তার রং যেমন লাল তেমনই মনিপুরের দুর্গম গ্রামে থাকা পরিবারটি যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে তার রংও লাল। আবার মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির পরিবার যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে তার রংও কিন্তু সেই লাল’ই হয়ে থাকে। সরকারি থেকে বেসরকারি সংস্থা, সকলের তৈরি গ্যাস সিলিন্ডারের রং ভারতের লাল হয়। এর কারণটা কী?
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের রং হলুদ, সবুজ, খয়রি বা অন্য কিছু না হয়ে লাল কেন হয় তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল আছে। আসলে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার এক অর্থে বিপজ্জনক। কারণ এর মধ্যে লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস ভরা থাকে, যা অতি দাহ্য জিনিস। সেই বিপদ থেকে সকলকে সাবধান রাখতেই এর রং লাল করা হয়েছে।
যেহেতু লাল রং বিপদ এবং সতর্কতার বার্তা দেয় তাই বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের রং লাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তাছাড়া লাল রং অনেকটা দূর থেকে দেখা যায়, ফলে কোনও জায়গায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার রাখা আছে এটা সহজেই মানুষ বুঝে নিতে পারে।
খেয়াল করলে দেখবেন, দমকল থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষেত্রে যা কিছু জরুরি পরিষেবা এবং বিপদের সঙ্গে জড়িত সেখানে সাধারণত লাল রং দেখতে পাই আমরা। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই। তবে যদি ভাবেন ভারতবর্ষে রান্নার যত গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায় সবার রং লাল তাহলে ভুল করবেন। কেউ কেউ জানেন আবার কেউ কেউ জানেন না, তা হল এই দেশের নীল রঙের গ্যাস সিলিন্ডারও দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে আসে না।
আসলে ভারতবর্ষে দুই ধরনের এলপিজি সিলিন্ডার অর্থাৎ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার তৈরি হয়। একটি হল বাড়িতে ব্যবহারের জন্য, যার রং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে লাল হয়ে থাকে। আর অপরটি হল বাণিজ্যিক রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার, যার রং আবার নীল হয়। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড সেন্টার ক্যাটারার তাদেরকে এই নীল রংয়ের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখবেন। আসলে বাণিজ্যিক এবং বাড়িতে ব্যবহারের এই পার্থক্যটা বোঝাতেই এই দুই ধরনের রং বেছে নেওয়া হয়েছে।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 নিজের পায়ে দাঁড়াতে টাকা দেবে সরকার, শুধু এই পোর্টালে নামটা তুলুন
👉 ভোটের মধ্যেই চুপি চুপি ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র, কত ছিল কত হলো?
👉 ১ এপ্রিল থেকে সিম কার্ডের পুরোনো নিয়ম থাকবে না, সবকিছু নতুনভাবে হবে
👉 আরো ৫ টি ব্যাংককে জরিমানা করল RBI, যারা টাকা রেখেছে তারা কী করবে?
👉 ন্যূনতম মজুরি বলে আর কিছু থাকবে না, এর বদলে লিভিং ওয়েজ চালু করবে সরকার