ভারত-পাক সীমান্তে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি যেন আরো জোড়ালো। আর এর পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে এবং আপাতকালীন পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশের একাধিক রাজ্যে যুদ্ধের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এই যুদ্ধের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে আগামী ৭ই মে, বুধবার।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের মোট ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চালানো হবে বলেই সূত্রের খবর। আর এর লক্ষ্য একটাই- শহরের পাশাপাশি যাতে গ্রামীন এলাকাতেও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, যুদ্ধ হলে কীভাবে নিরাপদে থাকা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বেশ কিছু সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে নৌ-সেনা এবং বায়ু সেনার প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি বৈঠক সেরেছিলেন। আর সেখানে জঙ্গি দমনের জন্য প্রস্তুতির জন্যেই বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই ঘটনার ঠিক কয়েকদিন পরেই কয়েকটি রাজ্যকে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কোন বিষয়ে মহড়া?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে যে বিষয়ে মহড়া এসেছে তা হল- বিমান হামলার সতর্কতায় সাইরেনের ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি নাগরিকদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষ এবং পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে নজরদারি চালানো। এমনকি জরুরী পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানো হবে, সেই বিষয়েও তৎপরতা দেওয়া।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’
গত রবিবার রাত ঠিক ৯টায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সেনাদের তরফ থেকে একটি ব্ল্যাকআউট ড্রিল হয়েছে। সেই সময় সব আলো নিভিয়ে এলাকার মানুষজনকে অনুশীলন করানো হয় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য। আর স্থানীয়দের আগেই জানানো হয়েছিল, যাতে কোনরকম উজ্জ্বল আলো বা চোখে পড়ার মতো জিনিস ব্যবহার না করে।
আরও পড়ুন: DA Hike: কেন্দ্রের সমান ডিএ! ৫৫% ডিএ ঘোষনা এইসমস্ত কর্মীদের জন্য
পহেলগাঁও হামলার জবাবে কী বলেছেন মোদি?
এই মহড়া শুধুমাত্র যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নয়, বরং এটি জবাব দেওয়ারও বার্তা। হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যারা বন্দুকের ট্রিগার চেপেছিল এবং যারা ষড়যন্ত্রে নেমেছিল, তাদের কাউকে এবার রেহাই দেওয়া হবে না।
পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে জানেন, ভারত এবার উপযুক্ত জবাব দেবেই। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। আরো বলেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব সেনাদের সঙ্গে মিলে সীমান্তকে সুরক্ষিত করা, আর শত্রুদেরকে যোগ্য জবাব দেওয়া। আর তিনি সেটাই করবেন।