ভাইফোঁটার আগে সুখবর! বেকার ভাই-বোনেরা মাসিক ১৫০০ টাকা করে ভাতা পাবে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক প্রকল্প রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য ইতিমধ্যে চালু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এই সমস্ত প্রকল্পগুলি শিক্ষার্থী, বেকার যুবক-যুবতী, প্রবীণ নাগরিক, মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

সাম্প্রতিককালে রাজ্য সরকার একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেটি হল যুবশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক যুবতীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় প্রতি মাসে ১৫০০টাকা করে। 

যুবশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য 

যুবশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা ২০১৩ সালে চালু করা হয়। প্রকল্পটি রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে থাকে। তাই যারা আর্থিকভাবে অনেকটা দুর্বল বা অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনা তাদের জন্য এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা।

যুবশ্রী প্রকল্পের সুবিধা 

যুবশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে যারা আবেদন করবে তাদেরকে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এই টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই ভাতা একদিকে যেমন বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করা তোলে, তেমনই তাদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।

প্রতি ৬ মাস অন্তর আবেদনকারীকে একটি সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম জমা দিতে হয়, যাতে তারা জানায় তারা এই অর্থ কিভাবে ব্যবহার করছে। 

যুবশ্রী প্রকল্পের শর্তাবলী 

যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। যোগ্যতাগুলি হল-

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে,
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে,
  • যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর নাম অবশ্যই রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত থাকতে হবে।

যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি 

যুবশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন-

  • প্রথমে আবেদনকারীকে রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এটি অনলাইন বা অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে করা যায়।
  • এরপর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আবেদনকারী একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন, এই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখা জরুরী।
  • রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার পর আবেদনকারীকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট আউট নিয়ে নিকটস্থ কোন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে জমা করতে হবে।
  • আবেদন জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক পোর্টালে ইউজার আইডিপাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করে নিজের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

আবেদন করার পর নির্দেশনা 

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে কিছু নির্দেশনা পালন করতে হবে। আবেদনকারীদের প্রতি ৬ মাস অন্তর তাদের নিজস্ব সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম জমা করতে হবে। এই ফর্মে আবেদনকারীরকে লিখতে হবে তারা সেই অর্থ কিভাবে ব্যয় করল সেই বিষয়ে। এটি জমা না করলে ভাতা পাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:

যুবশ্রী প্রকল্পের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব 

যুবশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সরকার যুব সমাজের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তারা শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের আরো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে সাহায্য করেছে। এর ফলে রাজ্যের অনেক বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির সন্ধান হচ্ছে। তাই এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে। 

Leave a Comment