প্রায় 45 ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, ফ্যান, এসি, কুলার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে,আমজনতার দাবি যে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে লাফিয়ে। কিন্তু ঘর ঠাণ্ডা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় পকেটও গরম হয়ে উঠবে আমজনতার। কারণ লাফিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। 1 মে থেকে কার্যকর হবে এই দাম। তাই প্রচণ্ড গ্রীষ্মে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে হতবাক করেছে। আকাশচুম্বী বিদ্যুতের হার বৃদ্ধির কারণে ভারতের 30 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিদ্যুতের হার প্রতি ইউনিট 70 পয়সা থেকে বাড়িয়ে 1.70 টাকা করা হয়েছে এবং এই বর্ধিত বিদ্যুত বিল আমজনতার পকেটে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে বস্তিতে বসবাসকারী দরিদ্র, শ্রমজীবী মানুষ এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপরও ব্যাপক প্রভাব পড়বে। জানা গিয়েছে ফুয়েল অ্যাডজাস্টমেন্ট ফি হিসাবে 318 কোটি টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য মে থেকে অগাষ্ট মাস পর্যন্ত এই বিল দিতে হবে।
প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের নতুন দাম
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন জুলাই-ডিসেম্বর 2023 সময়কালে জ্বালানি সমন্বয় শুল্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য আদানি ইলেকট্রিসিটির অতিরিক্ত ব্যয় পুনরুদ্ধারের অনুমোদন দিয়েছে। আসলে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হয় জ্বালানি সমন্বয় ফি (এফএসি) এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর পাবেন না! মুখ্যমন্ত্রী কেন বললেন এই কথা?
আদানি ইলেকট্রিসিটি জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় 300 কোটি টাকার জ্বালানি খরচ পুনরুদ্ধারের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে একটি আবেদন করেছিল। এটিই এদিন অনুমোদন করা হয়েছে। এটি দেশীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে চলেছে।
1) যেসব গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ 0-100 ইউনিট, তাদের জন্য ইউনিট প্রতি 70 পয়সা বাড়বে।
2) 101-300 ইউনিট পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য 1.10 টাকা।
3) 301-500-এর জন্য 1.50 এবং 1.50 টাকা এবং 1.70 টাকা।
আরো পড়ুনঃ গ্রাহকেরা আর টাকা তুলতে পারবে না! এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই বিপদ
উল্লেখ্য, আপনিও যদি আদানি গোষ্ঠীর ইলেক্ট্রিসিটি গ্রাহক হন, তাহলে পকেট থেকে মোটা টাকা খসতে চলেছে। তবে আমাদের রাজ্যে আদানির বিদ্যুৎ পরিষেবার তেমন প্রচলন নেই, যেকারনে এখানকার মানুষদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।