ব্যাঙ্ক নিয়ে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের কথা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি ভারতের বড় ৩ টি ব্যাঙ্ক একসাথে জুড়ে দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও জল্পনা তৈরি হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি ইউকো ব্যাঙ্ক এই তিনটি ব্যাঙ্কে একসাথে জুড়ে দেওয়া নিয়ে যাবতীয় সত্যতার প্রকাশ করেছেন। সত্যি কি রটনা অনুযায়ী আবারও যুক্ত করা হবে বড় বড় তিনটি ব্যাঙ্ককে? এই সরকার সত্যি কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কারণ কী? এইসব সংক্রান্ত তথ্যের বিষয় বলে দিলো ইউকো ব্যাঙ্ক।
বেশ কয় দিন ধরে শোনা যাচ্ছে যে, ইউকো ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব এন্ড সিন্দ ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রকে একসাথে জুড়ে দেওয়া হবে। এখন এই ব্যাঙ্কগুলির ৯৫.৩৯ শতাংশ শেয়ার যেহেতু সরকারের হাতে রয়েছে, তাই ব্যাঙ্ক মার্জিং হবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি। এমনকি ইউকো ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্ক গুলির কাছে সেরকম কোন নির্দেশিকা ও পাঠায় নি, এমনকি সরকারও এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা করেনি এখনও অবধি।
ইউকো ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সরকার এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ক ও মার্চেন্ট বিষয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয় নি। এমনকি কোনও ব্যাঙ্কের কাছেই এই বিষয়ে কোনো রকম নির্দেশিকা পাঠানো হয় নি, তাই বলা যেতে পারে এই সবটাই গুজব বা ভুয়ো।
অন্য দিকে ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্ক মার্জিং বিষয়টিকে একেবারেই ঠিক মনে করছে না। তারা জানায় যে, এই ব্যাঙ্ক মার্জিং বিষয়টি ব্যাঙ্কের জন্য খুব একটা ভালো নয়। একটি এক্সচেঞ্জ ফাইলিং এর সময় ইউকো ব্যাঙ্ক যাবতীয় তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন যে, ব্যাঙ্কের উপরে কোন বস্তুগত প্রভাব পড়ে না। লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর ও আরো একবার এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর শোনা গিয়েছিল তিনটি বড় ব্যাঙ্ককে একসাথে যুক্ত করা হবে।
কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সকল ব্যাঙ্কের স্টক রয়েছে ৮৫% এরও বেশী,তাই সরকার চাইলে এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। অন্যদিকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, ৯৫.৩৯ শতাংশ থেকে স্টকের পরিমাণ কমিয়ে ৭৫ শতাংশ নিয়ে আসার জন্য দাবি করা হলেও সরকার এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন কিছু ঘোষণা করেননি। তবে ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না বলেও নিশ্চয়তা প্রদান করেনি ইউকো ব্যাঙ্ক।
আরো পড়ুন: জিও পেমেন্টস ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স একাউন্ট খুলুন, আর পান এইসব সুবিধা
ইউকো ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে এই ঘটনা বাস্তবে পরিণত হতেই পারে।
কিছুদিন আগেই স্টক মার্কেটে ইউকো ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকটি শেয়ারের দাম ০.১৬ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
কোন ব্যাঙ্কের কত শতাংশ স্টক সরকারের হাতে রয়েছে – চলুন দেখে নিই একনজরে-
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৯০.২৫ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে আছে, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের ৮৬.৪৬ শতাংশ স্টক রয়েছে সরকারের হাতে। পাঞ্জাব এন্ড সিন্ড ব্যাঙ্কের ৯৮.২৫ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে আছে।