তীব্র গরম থেকে বাঁচতে, সকাল 7 টা তেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ক্লাস। রাজ্যের প্রায় সব প্রাথমিক স্কুল এইভাবেই চলছে। কিন্তু খালি পেটে ক্লাস করতে হয় বাচ্চাদের। তাও আবার এত তীব্র গরমে। চিন্তায় ছিল শিক্ষামহল। এবার সেই চিন্তাই দূর করে মিড ডে প্রথার পাশাপাশি ব্রেক ফাস্ট প্রথাও চালু হয়ে গেল স্কুলে স্কুলে।
দেশের সব সরকারি স্কুলে দুপুরবেলা মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় বাচ্চাদের। মূলত হাই স্কুলের বাচ্চাদের জন্যই এই নিয়ম বর্তমান। কিন্তু যারা মর্নিং স্কুলে যায়, অর্থাৎ প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চারা। তারা কী দোষ করেছে। তাদেরও তো খিদে পায়। তাই এবার মর্নিং স্কুলেই ব্রেক ফাস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছোট ছোট পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক চাপের কথা ভেবেই সকালবেলা ব্রেকফাস্টের আয়োজন করেছিল মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত 188 জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ে ওই স্কুলে। তাদের জন্যই ব্রেক ফাস্টের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
ব্রেক ফাস্টে কী কী খাবার পাচ্ছে পড়ুয়ারা?
ছোটদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক মহল। চিকিৎসকদের কথা মতো, বিস্কুট, কর্নফ্লেক্স, কেক, মুড়ি ইত্যাদি খাবার দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যতদিন মর্নিং স্কুল হবে, ততদিন ব্রেক ফাস্ট দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: বিদ্যাধন স্কলারশিপ ২০২৪, আবেদন করলে ১০ হাজার টাকা মিলবে
মিড ডে মিলের খাবার খেতে খেতে 10 টা বেজে যায়। এর আগে এতক্ষণ খালি পেটে থাকা, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব। তাই 7 টা থেকে 10 টার মধ্যে মাঝের 3 ঘণ্টা খালি পেটেই যাতে আর ক্লাস করতে না হয়। সে দিকেই খেয়াল রাখছেন সে স্কুলের শিক্ষক সম্প্রদায়।
এই সিদ্ধান্তের মূলে রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ। পড়ুয়াদের শারীরিক পুষ্টি ও পড়াশুনার জন্য তিনিই প্রথম বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে
আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।