বর্তমান দিনে মানুষের কাছে তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যা (IT) হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব জিনিস ব্যবহার করছি, যেমন- মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সবই হল তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যার একটি রূপ। তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে নতুন নতুন আবিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক টেকনোলজি হল ইন্টারনেট, যার মাধ্যমে আমরা সহজেই সমগ্র পৃথিবী সম্পর্কে জানতে পারি।
ভারতের বৃহত্তম IT সেন্টার হল রাজীব গান্ধী IT পার্ক। ব্যাংগালোর উন্নত তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যার (IT) জন্য ক্ষ্যাতি বলে ব্যাংগালোরকে “ভারতের সিলিকন ভ্যালি” বলা হয়। ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ IT কেন্দ্র হল দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই প্রভূতি।
IT কী?
IT হল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্র, যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। যে উন্নত টেকনিক্যালি প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থার সাহায্যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিশ্লেষন, অবস্থান নির্ণয় ইত্যাদি বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষন করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি (IT) বলে।
IT এর সম্পূর্ণ নাম কী?
IT এর সম্পূর্ণ নাম হল Information Technology, IIT এর বাংলায় অর্থ হল তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যা।
IT কোর্স কয় প্রকারের হয়?
IT কোর্স সাধারণত তিন প্রকারের হয়, যথা-
১) Degree Course
২) Diploma Course
৩) Certificate Course
IT কলেজে শিক্ষার্থী নির্বাচন কিভাবে হয়?
দ্বাদশ ক্লাসের সাইন্স বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাদের 45-50% নম্বর থাকলে IT করতে পারবে। IT করার জন্য নম্বরের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদেরকে কলেজে ভর্তি করা হয়।
IT কলেজে শিক্ষার্থী ফি কত?
IT কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি ফি 90,000 থেকে 1,20,000 টাকার মধ্যে। আর IT কোর্স শেষ হতে মোট তিন থেকে চার লক্ষ টাকা লাগে।
IT কোর্স করতে কত বছর সময় লাগে?
IT কোর্স করতে শিক্ষার্থী তিন বছর সময় লাগে।
বর্তমানে চাকরি মুখী বিভিন্ন IT কোর্স
বর্তমানে চাকরি মুখী বিভিন্ন IT কোর্সগুলি হল
১) B.Sc IT Course
২) B. Tech IT Course
IT কোর্সে করে কি কি চাকরি (কাজ) পাওয়া যায়?
IT কোর্সের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে এবং IT কোর্স করে যে সব কাজের সুবিধা পাওয়া সেগুলি হল
১) IT কোর্স করার পর UPSC পরীক্ষার মাধ্যমে IAS/IPS অফিসার হওয়া যায়।
২) সিনিয়র সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা অভিজ্ঞ কর্মচারী যারা সাধারণত সফ্টওয়্যার উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিতে দেখাশোনা করে।
৩) সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত কম্পিউটার সফ্টওয়্যারের ডিজাইন, বিকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন করে থাকেন।
৪) ন্যাশনাল লেভেলে অনেক কোম্পানিতে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ও ডেজাইনের কাজের সুযোগ রয়েছে।
৫) প্রোজেক্ট ম্যানেঞ্জার পদে কাজ করার সুযোগ সুবিধা পাবে।
৬) সরকারী ও বেসরকারি অনেক কাজের সুবিধা রয়েছে। সরকারী ও বেসরকারি সংস্থানগুলিতে কম্পিউটারের সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার্ক ও নেটওয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
৭) ওয়েবসাইট উন্নয়নের জন্য IT করা প্রার্থীরা কাজ করার সুযোগ সুবিধা পায়।
৮) IT করা প্রার্থীরা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার্ক তৈরি করে নিজেই নিজের ব্যবসা স্থাপন করতে পারবে।