মাসে ১৮,০০০ টাকা ভাতা দেবে সরকার, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এইসব লোকেদের নাম তোলা শুরু

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মহিলা সম্মান যোজনা এবং সঞ্জিনী যোজনার পর আরও একটি বড় যোজনার ঘোষণা করল সরকার। শুনলেই অবাক হবেন। এই যোজনার নাম পূজারি গ্রন্থি সম্মান যোজনা।

‘পূজারি গ্রন্থি সম্মান যোজনা’ কী?

পূজারী গ্রন্থি সম্মান যোজনা হল পুরোহিত এবং গ্রন্থিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য তৈরি একটি নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • ১৮,০০০ টাকা মাসিক ভাতা: এই প্রকল্পের অধীনে, পুরোহিত এবং গ্রন্থিরা ১৮,০০০ টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।
  • টার্গেট: এই প্রকল্পটি বিশেষভাবে হিন্দু মন্দিরের পুরোহিত এবং দিল্লির শিখ গুরুদ্বারগুলির গ্রন্থিদের লক্ষ্য করে।
  • উদ্দেশ্য: এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পুরোহিত এবং গ্রন্থিদের সাহায্য করা, যারা ধর্মীয় সেবায় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কিন্তু প্রায়শই তাঁদের পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল হয় না।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বিস্তারিত

নিবন্ধন শুরুর তারিখ: পূজারী গ্রন্থি সম্মান যোজনার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে শুরু হওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, নতুন বছর ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, দিল্লির রাজনৈতিক দলগুলি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি, দলগুলি ইতিমধ্যেই তাদের কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।

ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে আম আদমি পার্টি (AAP) জনসাধারণের জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ ঘোষণা করার উপর জোর দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পূজারী গ্রন্থি সম্মান যোজনা নামে একটি নতুন উদ্যোগ চালু করেছেন। জানা গিয়েছে, আম আদমি পার্টি মঙ্গলবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত ‘পূজারি গ্রন্থি সম্মান যোজনা’ চালু করবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এই তথ্যটি দিল্লির প্রাক্তন এবং AAP আহ্বায়ক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালই টুইট করে জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের অধীনে, যদি এএপি সরকার আবার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসেন, মন্দিরের পুরোহিত এবং গুরুদ্বার পুরোহিতদের প্রতি মাসে 18,000 টাকা বেতন দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডারে নতুন চমক, ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে বড় ঘোষণা করল মমতা ব্যানার্জি

ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর AAP-এর দৃষ্টিভঙ্গি

এই উদ্যোগটিকে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জনের জন্য AAP-এর একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনের আগে। ধর্মীয় নেতাদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে, AAP দিল্লিতে তার অবস্থান শক্তিশালী করার আশা করছে।

Leave a Comment