the benefits of ITI course
WhatsApp Group Join Now

ভারতে বহু স্থানে ITI কোর্সের কলেজ রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে 131 টি ITI কোর্সের কলেজ আছে। ITI ভারত সরকারের শ্রম ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। ITI কোর্স করার জন্য কলেজে সরকারী ও বেসরকারি এই দুইভাবে ভর্তি হয়। ITI কোর্সের ক্ষেত্রে হাতের কাজ ও দক্ষতার উপর বেশি জোর দেয়। যখন ITI কোর্স শেষ হয় তখন ITI কোর্সের ছেলে-মেয়েদেরকে NCVT সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর এই সার্টিফিকেটের গুরুত্ব অপরিসীম।

ITI কী?

ITI হল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন শিল্প সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। ITI কোর্স শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষার্থীরা শিল্প সম্পর্কে উন্নত প্রযুক্তিগত দিক পুরোটায় আয়ত্ত করে নেই। ITI কোর্সের ক্ষেত্রে হাতের কাজ ও দক্ষতার উপর বেশি জোর দেয়।

ITI এর সম্পূর্ণ নাম কী?

ITI এর সম্পূর্ণ নাম হল Industrial Training Institute, ITI এর বাংলায় অর্থ হল শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।

ITI কলেজে শিক্ষার্থী নির্বাচন কিভাবে হয়?

অষ্টম ও দশম ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা ITI করার জন্য সরকারী ও বেসরকারি ভাবে ভর্তি হতে পারে। সরকারী ITI কলেজে ভর্তি হতে গেলে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। এরপর নাম্বারের ভিত্তিতে মেরিট লিস্ট বার হয়, আর এই মেরিট লিস্টের উপর ভিত্তি করেই ভর্তি হয়। বেসরকারি ITI কলেজে টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়।

ITI কলেজে শিক্ষার্থী ফি কত?

বেসরকারি ITI কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি ফি 60,000 থেকে 70,000 টাকার মধ্যে। আর সরকারী ITI কলেজে কোনো ভর্তি ফি লাগে না।  

ITI কোর্স করতে কত বছর সময় লাগে?

ITI কোর্স করতে শিক্ষার্থী এক বা দুই বছর সময় লাগে।

WhatsApp Group Join Now

বর্তমানে চাকরি মুখী বিভিন্ন ITI কোর্স

বর্তমানে চাকরি মুখী বিভিন্ন ITI কোর্সগুলি হল

১) ফ্রিটার

২) ইলেক্ট্রিশিয়ান

৩) ড্রাপস অফ মেকালিক্যাল

৪) কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও নেটওয়াকিং

৫) অটো ইলেক্ট্রিশিয়ান

৬) সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

ITI কোর্সে করে কি কি চাকরি (কাজ) পাওয়া যায়?

ITI কোর্স করে যে সব কাজের সুবিধা পাওয়া সেগুলি হল

১) ITI কোর্স করার পর সরকারী চাকরি অর্থাৎ রেলওয়ে, রাইফেল ফ্যাক্টরি, ডিফেন্স লাইনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে।

২) ITI কোর্স করার পর বেসরকারী চাকরি অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানিগুলিতে লেবার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও নেটওয়াকিং প্রভূতি কাজ পাওয়া যায়।

৩) ITI কোর্স শেষ করার পর নিজে থেকেই বিজনেস, কোম্পানি, ইলেক্ট্রিশিয়ান দোকান খোলতে পারা যায়।

৪) রাষ্ট্র ও রাজ্য লেভেলে ইলেক্ট্রিক বোর্ডে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

৫) টাটা মোটরস, ভারতী, সুজকী, হুন্ডা, দাস অটো ও অন্যান্য নামিদামি কোম্পানিগুলিতে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।

৬) মেশিন, জাহাজ ও রেল তৈরির ক্ষেত্রে ITI কোর্স করার ছেলে-মেয়েরা কাজ করার সুযোগ সুবিধা পায়।

৭) ITI কোর্স করতে যেহেতু কম সময় লাগে, সেই ক্ষেত্রে রোজগার তাড়াতাড়ি করার সুযোগ রয়েছে।

৮) ITI কোর্স করা থাকলে সরকারী বা বেসরকারি কোনো কাজ পেতে অসুবিধা হয় না।

৯) ITI কোর্স করা থাকলে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ইলেক্ট্রিক প্রভূতি কাজকর্মগুলি তারা অনায়াসে করতে পারবে।

১০) ITI কোর্স করা থাকলে বিল্ডিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বিল্ডিং তৈরির পরিকাঠামো, বিল্ডিং এর জন্য কতটা জায়গা লাগবে, বিল্ডিং তৈরি কি রকম মডেলের হবে, বিল্ডিং তৈরিতে কতটা বালি,সিমেন্ট, পাথর, শিক লাগবে প্রভূতি বিষয়ে ভালোমতো সুস্পষ্ট ধারনা দিতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *