দীর্ঘ গরমের ছুটি (Summer Vacation) কাটিয়ে গত ২ জুন রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের দরজা খুলেছে। তবে এবারে প্রশ্ন উঠছে, এই গরমে কি আবার ছুটি পড়বে? কারণ বাংলার প্রতিটি জেলায় যে হারে দাবদহ বাড়ছে, সূর্য মাথার উপর ঠিকড়ে পড়ছে, তাতে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য।
বৃষ্টির পর আবার গরমের কামব্যাক
মাত্র কদিন আগেই টানা বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া গিয়েছিল। হ্যাঁ, তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমেছিল। তবে জুনের শুরুতেই যেন বদলে গিয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে পারদ ছুঁয়েছে প্রায় ৪০ এর গণ্ডিতে। হাওয়া অফিস বলছে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। আর এই অবস্থায় গরমে রাস্তায় বের হওয়া তো দূর, ক্লাসরুমে গিয়ে পড়াশোনা করাও দুর্বিসহ হয়ে পড়ছে।
স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম
জানিয়ে রাখি, গত ৩১ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি ছিল। তারপর ২ জন থেকে রাজ্যের স্কুলগুলোতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তবে তাপমাত্রা বেড়ে চলায় এখন অনেক প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম।
কারণ, সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলোর জন্য আবারও ছুটির ঘোষণা করা হবে কিনা, সেদিকেই মুখিয়ে রয়েছে সবাই। অনেকে দাবি করছে, পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। আর যদি তাপমাত্রা আবারও খুব বাড়ে, তাহলে সেক্ষেত্রে অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট মিটার কী, কেন বসানো হচ্ছে? এতে কি বিল বেশি আসে? জানুন সবটা
জেলায় জেলায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ সিদ্ধান্ত
তীব্র দাবদাহের কথা মাথায় রেখে পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলোতে স্পেশাল নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এই সমস্ত জেলায় মর্নিং স্কুল হবে বলে খবর। এমনকি প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ থেকে ৯ টা পর্যন্ত ক্লাস হবে। আর শনিবারও একই নিয়ম থাকবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
আর এই অবস্থায় কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির স্কুলগুলির জন্য কি সিদ্ধান্ত নেয়, তার জন্য নবান্ন বা শিক্ষা দপ্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। কারণ, চরম গরমে ক্লাস চালানো যেমন কষ্টকর হয়ে পড়ছে, তেমনি পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটছে।