ভারতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় এখন ৫০০ টাকা এবং ২০০ টাকার নোট। তবে ২০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর থেকে দেশে ২০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার জাল নোট ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেছে লেনদেনের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
জাল ২০০ টাকার নোটের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি
সম্প্রতি তেলেঙ্গানার নির্মল জেলাসহ একাধিক এলাকায় ২০০ টাকার জাল নোটের প্রচলন লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নোট নিয়ে আশঙ্কায় ধরেছে, কারণ জাল নোটগুলি দেখতে আসল নোটের মতই। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের মতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাল নোট শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে আরো বেশি প্রভাবিত করছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের দ্বারা প্রকাশিত একটা রিপোর্টে জানানো হয়েছে-
- ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২,৭২৮টি জাল ২০০ টাকার নোট সনাক্ত করা হয়েছিল।
- ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই জাল নোটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১,৯৬৯টি, যা ১৫১% বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই তথ্যগুলি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জাল নোটের তুলনামূলক বৃদ্ধির হারকেই ইঙ্গিত দেয়।
জাল নোট সনাক্ত করার উপায়
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জাল ২০০ টাকার নোট সনাক্ত করার জন্য কিছু বিশেষ উল্লেখ করেছে। ২০০ টাকার আসল নোটের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
- নোটের বাম দিকে দেবনগরী লিপিতে ২০০ লেখা থাকবে,
- নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর পরিষ্কার ছবি থাকবে,
- মাইক্রো অক্ষরে লেখা থাকবে ‘RBI’, ‘ভারত’, ‘ইন্ডিয়া’, এবং ‘২০০’,
- নোটের ডানদিকে অশোকস্তম্ভের প্রতীক থাকবে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি দেখেই গ্রাহকদের ২০০ টাকার নোট গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বাজারে জাল ১০০ টাকার নোট ছড়াছড়ি, কীভাবে চিনবেন আসল নোট?
সতর্কতার বার্তা
জাল নোটের বিস্তার রোধ করতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ দিয়েছে। লেনদেনের সময় নোটগুলো সঠিকভাবে পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে। কেউ জাল নোট পেলে তা দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাল নোটের সমস্যা দেশে নতুন নয়। তবে তা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপই পারবে এই সমস্যার সমাধান করতে। তাই জাল নোট রোধ করে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।