বর্তমান সময়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বেশ উদ্বেগজনক। আর সে কারণেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। জানা যাচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগামী তিন মাসের জন্য রেশন সামগ্রী মজুদ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন। জুন, জুলাই এবং আগস্ট এই তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে মজুদ করে রাখা হবে। হ্যাঁ, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
শনিবার রাত থেকেই শুরু হলে জরুরী বৈঠক
আসলে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন ভার্চুয়ালভাবে একটি বৈঠক সারেন। এই বৈঠকটি হয় রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে। আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা, আর জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া।
এই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার সকালে বড়সড় ঘোষণা করা হয়। মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে বৈঠক করেন জেলার ডিজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং অন্যান্য সব শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে।
রেশনে মজুদ রাখতে হবে খাদ্য সামগ্রী
বৈঠকে জানানো হয়েছে যে, আগামী তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী বিশেষ করে চাল, ডাল, গম এবং নিত্য প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সামগ্রী, সেগুলি রেশন গুদামে আগাম মজুদ করে রাখতে হবে। আর এর মূল লক্ষ্য হলো, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট আটকানো, প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং রেশন গ্রাহকদের পরিষেবাকে বজায় রাখা।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও বিশেষ নজর
এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নেওয়া হয়েছে বিরাট পদক্ষেপ। জানানো হয়েছে যে, এবার প্রতিটি জেলায় জরুরি অবস্থায় কোন কোন হাসপাতালগুলি কতগুলি বেড দিতে পারবে, তারও তালিকা তৈরি করতে হবে। এমনকি জেলার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ব্লকে একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী এবং সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যে বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে গো-হারা হারলো ভারত
সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জন্য সতর্কতা
ভারত-পাকিস্তান আবহে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সীমান্তবর্তী এবং জঙ্গল ঘেরা অঞ্চলগুলিকে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশতে চলছে কড়া নজরদারি।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, টহলদাড়ি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ বা চোরাচালান প্রতিরোধে আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি জঙ্গলে ঘেরা সীমান্ত এলাকায় ড্রোন নজরদারিও চালু করতে হবে। এখন দেখার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে।