লোকসভা ভোটের মধ্যেই বাংলার বরাদ্দ বিপুলভাবে কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গরিব মানুষের রান্নার অন্যতম জ্বালানি কেরোসিন তেলের বরাদ্দ বিপুলভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসেও যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৫৮ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন তেল দেওয়া হয়েছিল। সেখানে নতুন চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে মে ও জুন মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেওয়া হবে মোট ৩৯ হাজার ২১২ কিলোলিটার কেরোসিন তেল অর্থাৎ মাসে ২০ হাজার লিটারেরও কম কেরোসিন তেল পাচ্ছে বাংলা।
কেরোসিন তেল আজও বহু গরিব মানুষের বাড়ির রান্নার কাজে প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও এই গরমের সময় নানান জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সমস্যা আছে। তখন কেরোসিন তেল দিয়েই নানান ধরনের বাতি জ্বালানো হয়। এটা কলকাতা সহ সমস্ত শহরাঞ্চলেই প্রচলিত এই গরমকালে এমনিতে কেরোসিন তেলের চাহিদা আরও বাড়ে তাছাড়াও বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র অনুষ্ঠান বাড়ির জায়গাতেও যথেষ্ট মাত্রায় কেরোসিন তেলের দরকার পড়ে।
এবার নিয়ম অনুযায়ী কেরোসিন তেল রাজ্য সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমেই মূলত বন্টন করে থাকে। তবে চাইলেও খোলা বাজার থেকে কেরোসিন তেল সংগ্রহ করতে পারে না রাজ্য। এটা কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিটি রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করে থাকে।
আরো পড়ুন: রেশন কার্ড বাতিল হলেই ঝামেলা, তবে এই কাজটি করলে আর চিন্তা নেই
স্বাধীনতার পর থেকে গরিবের জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কেরোসিন তেলে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে। তবে মোদি সরকারের আমলে কেরোসিন তেলের উপর ভর্তুকি ক্রমশই কমানো হয়েছে।
বছর দশেক আগে যে নামে এক লিটার কেরোসিন তেল পাওয়া যেত। এখন তার থেকে দাম বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তবুও গরীব মানুষের কাজে লাগে কেরোসিন তেল। ফলে বেশি টাকা দিয়েই তারা এখন রেশন থেকে কেরোসিন তেল সংগ্রহ করেন।
কিন্তু শুধু দাম বাড়ানোই নয়, মোদি সরকার গত কয়েক বছর ধরে কেরোসিন তেলের বরাদ্দ ক্রমশ কমিয়েছে। তবুও বছরখানেক ধরেই মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৫৮ হাজার কিলোলিটার করে কেরোসিন বরাদ্দ করছিল। কেন্দ্র কিন্তু হঠাৎ করে সেটা বিপুলভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: ১৪ জুন লাস্ট ডেট! ভোটের মধ্যেই করুন আধার কার্ডের এই কাজ
মে ও জুন দুই মাসে বাংলার জন্য মোট ৪০ হাজার কিলোলিটারেরও কম কেরোসিন তেল বরাদ্দ করেছে। যা ভাল করে হিসেব করলে দেখা যাবে মাসিক বরাদ্দ প্রায় ৩৮ হাজার কিলোলিটার করে কমে গিয়েছে! এক ধাক্কায় এতটা বরাদ্দ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত রাজ্য সরকারের। কীভাবে গরিব মানুষকে কেরোসিন তেল দেবে সেটাই রাজ্য বুঝে উঠতে পারছে না।