রেশন নিয়ে বড়সড় ধামাকা হতে চলেছে দেশে! মহা ফাঁপরে গ্রাহকেরা। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পর ভারতে রেশন ধর্মঘটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাজেটে বিভিন্ন বিষয়ের কথা বলা হলেও, রেশন ডিলারদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী কমিশন বৃদ্ধির কোনও উল্লেখ ছিল না। এর ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে চলমান সমস্যাটি বিনামূল্যে রেশন বিতরণই বন্ধ করে দিতে পারে।
দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর প্রভাব
সম্ভাব্য ধর্মঘট দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করবে যারা তাদের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিনামূল্যে রেশনের উপর নির্ভর করেন। লক্ষ লক্ষ পরিবার বেঁচে থাকার জন্য পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিডিএস) উপর নির্ভর করে এবং যে কোনও বাধা তাঁদের খাদ্যের প্রাপ্যতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
সরস্বতী পুজো এবং সোমবারের জন্য রেশন দোকানগুলি আগে বন্ধ ছিল, যার ফলে মাসের শুরুতে রেশন কার্ডধারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন, আরেকটি ধর্মঘটের সম্ভাবনা থাকায়, রেশন গ্রাহকরা উদ্বিগ্ন যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বিনামূল্যে রেশন সম্পর্কে উদ্বেগ
ধর্মঘট হলে লক্ষ লক্ষ নিম্ন আয়ের পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহকারী বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। ডিলাররা কয়েক মাস ধরে তাঁদের কমিশন বৃদ্ধির অনুরোধ করে আসছেন, কারণ তাঁরা মনে করেন বর্তমান কমিশন তাদের প্রদত্ত পরিষেবার জন্য অপর্যাপ্ত। তা সত্ত্বেও, সরকার দাবিতে সাড়া দেয়নি।
রেশন ধর্মঘট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা
কেন্দ্রীয় বাজেট রেশন ডিলারদের জন্য কোনও ত্রাণ না দেওয়ায়, শীঘ্রই রেশন ধর্মঘট শুরু হতে পারে বলে জল্পনা তাই ক্রমশ বাড়ছে। অল ইন্ডিয়া রেশন ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার এবং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন যে বাজেটে রেশন সামগ্রী, ভর্তুকি বা ডিলার কমিশন সম্পর্কিত তাঁদের কোনও উদ্বেগের সমাধান করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের দাবিতে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্যের নতুন নাম কী হবে?
ধর্মঘট পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ডিলাররা
বুধবার, রেশন ডিলাররা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করার কথা। অনেক ডিলার বিশ্বাস করেন যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার একমাত্র উপায় হল ধর্মঘট। বৈঠকে তাঁদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
মজার বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদীর এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, যা এই বিষয়টিতে রাজনৈতিক গুরুত্ব যোগাতে পারে। এবার, সরকার রেশন ডিলারদের দাবি মেনে নেবে কিনা, নাকি ধর্মঘট হবে তা দেখার বিষয়।