সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় তারকা পেশার মহম্মদ সামি এবং ভারতের টেনিস কুইন সানিয়া মির্জা নাকি বিয়ে করেছেন। ছবি দেখে প্রথমেই চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। তবে খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যায় এই ছবিটি ফেক।
ভাইরাল ছবির পিছনে আসল কারসাজি
আসলে ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে AI-এর ব্যবহারে তৈরি করা ছবি ও ভিডিও নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। মহম্মদ সামি এবং সানিয়া মির্জার এই বিয়ের ছবিটি তারই একটি উদাহরণ।
অনেকে ছবিটি দেখে আনন্দ পেলেও বেশিরভাগ মানুষ ছবিটির বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যেভাবে মজা করার প্রবণতার বাড়ছে, তা মোটেও ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
গুজব এবং বাস্তবতা
এটি প্রথমবার নয়, যেখানে সানিয়া মির্জা এবং মহম্মদ সামিকে ঘিরে এমন গুজব ছড়িয়েছে। এর আগেও ২০২৪ সালের জুন মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবী করা হয়েছিল তারা বিয়ে করেছেন। সেই সময় সানিয়া মির্জার বাবা ইমরান মির্জা এই গুজবকে পুরোপুরি ভিত্তিহীনভাবে উড়িয়ে দেন।
২০২৩ সালে পেশাদার টেনিস থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিবাহ করেছিলেন। তবে সেই সম্পর্ক তাদের টেকেনি। কিছুদিন পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ছেলে ইজহান মির্জার দেখভালেই ব্যস্ত রয়েছেন।
মহম্মদ সামির দাম্পত্য জীবন
অন্যদিকে ভারতীয় তারকা পেশার মহম্মদ সামির ব্যক্তিগত জীবনেও ছিল বেশ টুইস্ট। ২০১৮ সাল থেকে স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে আলাদা থাকছেন ভারতীয় পেসার। মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন তার স্ত্রী হাসিন জাহান। যার মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিং-এর মত গুরুতর অভিযোগও ছিল। তবে সেসব অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।
AI-এর ক্ষতিকর প্রভাব
AI-এর উন্নতি প্রযুক্তি যেমন নতুন সম্ভাবনার দিক খুলে দিচ্ছে, ঠিক তেমনি এর ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। যেমন- AI মিথ্যা খবর এবং বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট তৈরির একটি গুরুতর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সানিয়া মির্জা এবং মহম্মদ সামির ভাইরাল ছবিটি এই সমস্যাটির আরেকটি উদাহরণ।
আরও পড়ুন: ১.৩৬ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল, রেশন কার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বড় পদক্ষেপ
তারকা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, সমাজের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো থেকে সাবধান থাকা অত্যন্ত জরুরী।