লক্ষ্মীর ভান্ডার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা সবচেয়ে জনপ্রিয় কর্মসূচিগুলির মধ্যে একটি। রাজ্যের মহিলাদের সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটি চালু করেন। এই প্রকল্পটি হাজার হাজার নারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে অনেক মহিলা কর্মরত নন, বাড়ির কাজেই ব্যস্ত থাকেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে আর্থিক সহায়তা
যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি প্রথম চালু করা হয়েছিল, তখন সরকার সাধারণ মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) এর মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিল। সময়ের সাথে সাথে, এই পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়।
লোকসভা নির্বাচনের সময়, এই পরিমাণ সাধারণ মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের জন্য ১২০০ টাকা করা হয়। এই অর্থ প্রতি মাসে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হয়, যা তাঁদের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সাহায্য করে। এমন সময়ে বড় খবর।
আবার আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি!
সম্প্রতি, বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) নেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে একটি বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা প্রদান করবে। তিনি প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর, বিদ্যুৎ এবং শৌচাগার সরবরাহ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এই প্রতিশ্রুতি শুনে অনেক মহিলাই খুশি। কারণ প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা তাঁদের বর্তমানে প্রাপ্ত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। এর উপরে, বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি অনেক পরিবারের উপর আর্থিক বোঝাও কমাবে।
বিজেপি নেতার এই প্রতিশ্রুতি অনেক গুঞ্জন তৈরি করেছে, তবে অনেকেই ভাবছেন যে এটি কি কেবল নির্বাচনের সময় ভোট জয়ের কৌশল।
এদিকে নতুন বছর পড়তে না পড়তেই আরও এক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু খবরে বলা হয়েছে যে সরকার প্রতিটি মহিলার জন্য ভাতা ২০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, এই পরিবর্তন সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এমন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে যে সরকার এই প্রকল্প সম্পর্কে কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নেয় কিনা। অনেক মহিলা আশা করছেন যে আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে, এটি তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।