সমাজের আর্থিকভাবে দুর্বল অংশের মহিলাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ আবেদন করেও খালি হাতে বসে আছেন অনেকে। কিংবা কেউ কেউ হয়ত টাকাও পাচ্ছেন। তবে, এই টাকাও আর নাও আসতে পারে। শুধুমাত্র আপনাদের ভুলের জন্যই। কোন ভুলে আটকে যাবে টাকা?
আমরা সবাই জানি, ২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই স্কিমের সুবিধা পান। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলে তবেই মহিলারা এই টাকা পেয়ে উপকৃত হবেন। আবার একটা দুটো টাকা নয়। এই প্রকল্পের অধীনে, SC/ST সম্প্রদায়ের মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১২০০ টাকা। অন্যদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।
অথচ অনেকেই আছেন যে এমন কিছু ভুল করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন না। আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নম্বর, মোবাইল নম্বর, যোগাযোগের বিবরণ, ঠিকানা, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, কিছুই জমা দিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না।
সামাজিক নিরাপত্তা পশ্চিমবঙ্গের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে, লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক করে দেখা যাচ্ছে আবেদন অনুমোদন করা হয়নি। সবেরই মূলে পাঁচটি ভুল। কী কী ভুল?
এইসব ভুলের কারণে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আটকে যাচ্ছে?
1) আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়ে আবেদন করে বসছেন। কিংবা আবাসিক প্রমাণ সঠিকভাবে জমা দিচ্ছেন না।
2) আবেদনকারী মহিলা হলেও কোনও পুরুষ গিয়ে আবেদন করে আসছেন।
3) আবেদনকারীর বয়স 25 থেকে 60 বছরের মধ্যে হলেও, বয়সের প্রমাণ সঠিক ভাবে সরকারের ঘরে জমা দেওয়া হচ্ছে না।
আরো পড়ুনঃ পিএম কিষান ১৮ নং কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে? এইভাবে স্ট্যাটাস চেক করে দেখুন
4) আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে তালিকাভুক্ত করা নেই। থাকলেও তার প্রমাণ জমা পড়েনি।
5) আবেদনকারীদের হয়ত সরকারি সংস্থার অন্তর্গত হয়ে রয়েছেন।