স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত দেয় বা জোর করে কোনো কাজ করানোর চেষ্টা করে তাহলে তার ফল ভালো হবেনা। এমনই এক হুমকি মূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের স্কুল এডুকেশন কমিশনার। শিশুদের শাস্তি এবং মানসিক হয়রানির পরিণাম ভালো হবে না।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের আচরণ এবং শৃঙ্খলার বিধিমালা প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। 2018 সালের বিধি 4-এর উপ-বিধি 16-এর অধীনে শিশু/শিক্ষার্থীদের কোনও শাস্তি দেওয়া যাবে না। এটি আইনের নিষিদ্ধ।
আসলে, এমন অনেক শিক্ষকই রয়েছেন, যাঁরা স্কুলে পড়া না পারলে শিক্ষার্থীদের রীতিমত মারধর করেন। এই বিষয়টা একেবারেই ভালো চোখে দেখে না সরকার। তাই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক ভাবে অত্যাচার ঠিক নয়।
তাঁর মতে, শিক্ষক- শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তান স্নেহ করেন। তারা অপরাধ করলে তাদের মানসিক তিরস্কার বা হালকা শাসন করে বসেন। কিন্তু এখন সেটিও করা যাবে না।
কারণ, অধিকারীর দাবি, কারণে অকারণে সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি দিলে, তাতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে। বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাদের চরিত্র তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসবে। সেই কারণেই রাজ্যেরও মনে হয়েছে যে এই বিধানগুলি ব্যাপকভাবে প্রচার করা উচিত। প্রাথমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সমস্ত শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যে ওবিসি নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি! যা হয়েছে ২৪ ঘণ্টাতেই, সুপ্রিম কোর্টে জানালো রাজ্য
কী বলা আছে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে?
(১) পড়ুয়াদের কোনও শারীরিক নির্যাতন/শাস্তি বা মানসিক হয়রানি করা যাবে না।
(২) স্কুলের সময়কালে স্কুলের বাচ্চাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
(৩) এই নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত।
(৪) যে কোনও লঙ্ঘনকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।