লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন বাতিল হচ্ছে, কিন্তু কেন? জানালো রাজ্য সরকার

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। আজ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের জন্য গেম চেঞ্জার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল এই স্কিম। সুবিধা পাচ্ছেন 2 কোটি 15 লাখ 88 হাজার 775 জন মহিলা।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা বিধানসভায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এই বছরের 24 জুলাই পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য 39,817.5 কোটি টাকা খরচ করেছে।

কিন্তু এখনও এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট নথি দিয়ে আবেদন করলেও ভাতা পাচ্ছেন না। বাতিল করা হচ্ছে তাঁদের আবেদন। কিন্তু কেন? ঠিক কোন কোন ভুলের কারণে আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে তাঁদের। সত্যিটা জানা গেল অবশেষে।

এইসব কারণে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন বাতিল করা হচ্ছে

মন্ত্রী বলেছেন যে একটি পরিবারের একাধিক মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে আবেদনকারী মহিলাদের বয়স 25 থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হবে। 25 বছরের কম বয়সী নারী বা মেয়েদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

একইভাবে, 60 বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের আবেদনও গ্রহণ করা হয় না। কারণ 60 বছর বয়সের পর বার্ধক্য পেনশন দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। আর এর জন্য প্রয়োজন বয়সের প্রমাণ অর্থাৎ আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড। এইগুলো সঠিকভাবে জমা না করলে টাকা তো দেওয়া হবে না। আবেদন বাতিলই হবে।

আবার তপশিলি জাতি ও উপিজাতির অন্তর্গত হয়েও অনেকে কাস্ট সার্টিফিকেট দেখাচ্ছেন না। ফলে তাঁরা অতিরিক্ত বরাদ্দ 200 টাকাও পাচ্ছেন না। সাধারণ ক্যাটাগরিতে ধরা হচ্ছে, তাই শুধু 1000 টাকাই পাচ্ছেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুন: আগস্ট মাস তো শুরু হলো, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কবে ঢুকবে?

মিসেস পাঁজা আরও জানিয়েছেন যে, লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কিন্তু এই স্কিমের সুবিধাগুলি পেতে, একটি সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন৷ যৌথ অ্যাকাউন্ট থাকলে আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। আগে ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল, যার স্বামীর সঙ্গে যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। কিন্তু এখন এ ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হচ্ছে না।

জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত 4 লাখ 16 হাজার 727 জন সুবিধাভোগীকে বার্ধক্য পেনশনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ তাঁদের বয়স ছিল 60 বছর বা তার বেশি।

Leave a Comment