২১% উপভোক্তা বাদ, বাকিরা পাবেন পাকা বাড়ি! জেনে নিন নতুন আবাসন প্রকল্পের সমস্ত নিয়ম কানুন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের অভাবী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে চায়। আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারকে একটি কংক্রিটের বাড়ি তৈরি করে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য এই আবাসন উদ্যোগ চালু করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান না এলেও, এই প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণরূপে রাজ্যই চালাবে বলে জানা গিয়েছে।

উদ্যোগের মূল বৈশিষ্ট্য

  • অর্থায়ন: সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকার টাকা দেবে।
  • সময়রেখা: সুবিধাভোগীদের শীঘ্রই টাকা দেওয়া শুরু হবে।
  • সমীক্ষা: যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য একটি ব্যাপক সার্ভে চালানো হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত অভাবী। শুধুমাত্র তাঁদের জন্যই এই উদ্যোগ। এর জন্য কেন্দ্রের নির্ধারিত যোগ্যতার মানদণ্ড মানতে নারাজ মমতা সরকার। বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা আইন মেনে চলব, কিন্তু মানবতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে”

সার্ভের সমস্ত খুঁটিনাটি

প্রায় 36 লক্ষ মানুষের মধ্যে, কতজন রাজ্যের তরফে এই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

সার্ভের লিস্ট থেকে কতজনের নাম বাদ গেল?

36 লক্ষ মানুষের মধ্যে 14 লক্ষ 40 হাজার মানুষের যাচাইকরণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় 21.43 শতাংশ মানুষকে তালিকা থেকে আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে, আপনি যদি যোগ্য হয়েও, তালিকায় আপনার নাম না উঠে থাকে। তাহলে চিন্তা করবেন না। যোগ্য ব্যক্তিদের যাতে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য বাদ দেওয়া নামগুলি পুনরায় যাচাই করা হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কবে টাকা ঢুকবে?

সুবিধাভোগীদের ডিসেম্বর মাসে টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে খবর।

মূলত কোন ব্যক্তিদের নাম বাদ পড়েছে?

যে পরিবারগুলিকে এই প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে:

  • একটি তিন বা চার চাকার মালিক।
  • পরিবারের একজন সদস্যের সরকারে চাকুরি আছে।
  • প্রতি মাসে 15,000 টাকার বেশি আয়।
  • আয়কর দিতে হয়।
  • 2.5 একরের বেশি কৃষি জমির মালিক।

কৃষকদের জন্য সমর্থন

ফসল বীমা সহায়তা: মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় দানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একান্ত চাহিদার কথাও ভাবছেন।

নির্দেশিকা: এবার যাতে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা কোনও বাধা ছাড়াই ফসল বীমার সুবিধা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের উপর।

তদারকি এবং বাস্তবায়ন

জেলা পরিদর্শন: কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কালীপুজোর পরে জেলা জুড়ে প্রকল্পের কাজ কতটা এগোচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করবেন৷

ভার্চুয়াল মিটিং: মুখ্য সচিব মনোজ পন্ত চলমান বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে আলোচনা করবেন।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডারে বড় ঘোষণা! এবার থেকে প্রত্যেক মহিলা পাবেন প্রতি মাসে ২০০০ টাকা

উপসংহার

এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লক্ষ্য বাংলার অভাবী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা। লক্ষ্য হল আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের ব্যাপক সহায়তা প্রদান করা, যাতে কোনও যোগ্য ব্যক্তি উন্নত জীবনমানের সন্ধানে পিছিয়ে না থাকেন, তা নিশ্চিত করা।

Leave a Comment