পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) এর মতো বড় ব্যাঙ্কগুলো সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে! এমন পরিস্থিতিতে দুই ব্যাঙ্কের সঙ্গে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দিল একটি রাজ্য সরকার।
রাজ্য বিভাগগুলিকে এই ব্যাঙ্কগুলিতে তাঁদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে, সঞ্চয় তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। এমন পরিস্থিতিতে কতটা চাপ পড়বে সারা দেশের গ্রাহকদের উপর?
রাজ্য সরকার তার আদেশে সরাসরি বলেছে যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে রাজ্য সরকারের বিভাগ, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ, কর্পোরেশন, স্থানীয় সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
এসবিআই-পিএনবিতে কোনও রকম সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করা যাবে না। সমস্ত আমানতের টাকা তুলে নিতে হবে। এর জন্য সময় দেওয়া হয়েছে 20 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
SBI এবং PNB ব্যাঙ্ক নিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
কর্ণাটক রাজ্য সরকারের অর্থ বিভাগের সচিব ডঃ পিসি জাফর এই নির্দেশ জারি করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, উভয় ব্যাঙ্কে জমা তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সরকার জানিয়েছে যে ‘অপব্যবহার নিয়ে একাধিক সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও, দুই ব্যাঙ্ক কোনওই কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রকৃতপক্ষে, রাজ্য সরকারের কর্ণাটক মহর্ষি বাল্মীকি তফসিলি উপজাতি উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড সম্পর্কিত অর্থ স্থানান্তর কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক সরকার এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। এমনই পরিস্থিতিতে দুই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কর্পোরেশনের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছিল, কর্পোরেশনের অ্যাকাউন্ট সুপারিনটেনডেন্ট চন্দ্রশেখর পি 26 মে আত্মহত্যা করার পর। তিনি একটি নোট রেখে গিয়েছিলেন। নোটে দাবি করা হয়েছে যে কর্পোরেশনের 187 কোটি টাকা কোনও অনুমোদন ছাড়াই স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে 88.62 কোটি টাকা আইটি কোম্পানি এবং হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক একটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আবার বাড়বে, এবার কত টাকা বেশি হবে?
কতটা চাপে গ্রাহকেরা?
এই ধরনের আর্থিক অপব্যবহার যাতে আর না করা হয়, তা নিশ্চিত করতেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পাঞ্জাব ব্যাঙ্কের সঙ্গে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করার শুধুমাত্র বিভিন্ন রাজ্য বিভাগের অ্যাকাউন্টের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। এই কারণেই সারা দেশের গ্রাহকদের কোনও চিন্তার কারণ নেই।