প্রতিদিন লেনদেনের জন্য আমরা তো নগদ টাকা ব্যবহার করি। তবে আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন, আপনার নোটের নাম্বারে কোনও স্টার চিহ্ন (Star Mark) আছে কিনা? হ্যাঁ, এমন নোট অনেকেই দেখেছেন। আবার অনেকে এরকম নোট দেখে ভেবে নেয় যে, হয়তো এটি জাল নোট।
আবার কেউ কেউ দোকানদারকে নোটটা ফেরত দিয়ে দেয়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন, এই স্টার চিহ্নযুক্ত নোটের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
কেন নোটে স্টার চিহ্ন থাকে?
আসলে আমাদের দেশে প্রতিটি কারেন্সি নোটে একটি বিশেষ নির্দিষ্ট নাম্বার রয়েছে। সেই নাম্বার সাধারণত একটি গঠন অনুযায়ী তৈরি করা হয়। প্রথমে একটি সংখ্যা থাকে, তারপর দুটি অক্ষর তাকে এবং সবশেষে ৬ সংখ্যার একটা সিরিয়াল নম্বর থাকে। তবে কিছু কিছু নোটের ক্ষেত্রে ৬ সংখ্যার সিরিয়াল নাম্বারের আগে বা মাঝখানে একটি ছোট্ট স্টার চিহ্ন দেওয়া থাকে।
রিজার্ভ ব্যাংক কী বলছে?
এ বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, যদি কোনও নোট ছাপানোর সময় কোনও ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে সেই ত্রুটিপূর্ণ নোট বাতিল করে তার পরিবর্তে একটি নতুন নোট ছাপানো হয়। আর সেই নতুন নোট বদলি নোটের সিরিয়াল নাম্বারের মধ্যেই রাখা হয়। এর জন্যই একটি স্টার চিহ্ন বসিয়ে দেওয়া হয় মাঝখানে।
আসলে এই চিহ্নটা দেখে বোঝা যায় যে, নোটটি একটি রিপ্লেস্মেন্ট নোট। মানে কোনোরকম ত্রুটিযুক্ত নোটের জায়গায় এটিকে বাজারে ছাড়া হয়েছে। আর এই নোট ১০০ শতাংশই গ্রহণযোগ্য এবং বৈধ অন্যান্য নোটের মতো।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য খারাপ খবর! মিলবে না আর কোনও ডিএ বা পে কমিশনের সুবিধা
কোথায় এই নোট ছাপানো হয়?
জানিয়ে রাখি, বর্তমানে ভারতে মোট চারটি কারেন্সি প্রেস রয়েছে, যেখানে নোট ছাপানোর কাজকর্ম হয়। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায়, আর দুটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায়। ২০০৬ সাল থেকে এই স্টার চিহ্নযুক্ত নোটের প্রচলন শুরু করেছিল ডিজার্ভ ব্যাংক। তারা জানায়, নোট ছাপানোর খরচ কমানো এবং দ্রুত ত্রুটি সমাধান করতে স্টার চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।
তাই এই নোট যদি আপনার হাতে আসে, তাহলে কোনোরকম সন্দেহের কারণ নেই। কারণ আপনার হাতে থাকা স্টার চিহ্নযুক্ত নোটটি একদমই আসল এবং রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমোদিতই। তাই ভুয়া বলে প্রত্যাখ্যান করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি দিয়ে বাজারে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন।