২০১৬ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল, ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ বাতিল। আর সেই মুহূর্তে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। ব্যাংকের বাইরে লম্বা লাইন, টাকার জন্য ছোটাছুটি, সব জন্য একেবারে সিনেমার দৃশ্য।
তবে এবার কি আবার সেই দিন ফিরে আসছে? হ্যাঁ, সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) এক সিদ্ধান্ত ঘিরে এমনই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর অর্থনীতিবিদদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তো চলুন বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
২০০০ টাকার নোটের বিদায় প্রায় নিশ্চিত
জানিয়ে রাখি, ২০২৩ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছিল যে, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হবে। আর সেই পরিকল্পনা আছে প্রায় সফলের পথে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের হিসাব বলছে, প্রায় ৯৮.২% ২০০০ টাকার নোট রিজার্ভ ব্যাংক তুলে নিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও একাধিক নোট বাজার থেকে পুরোপুরি তুলে নিতে চাইছে।
এই নোটগুলি আর ছাপাবে না রিজার্ভ ব্যাংক
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তিনটি মূল্যমানের নোট আর ছাপাবে না। হ্যাঁ, পুরোপুরি ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। আর তালিকায় রয়েছে ২০০০ টাকার নোট, ৫ টাকার নোট এবং ২ টাকার নোট। যদিও ৫ টাকা এবং ২ টাকার নোট এখন আর বাজারে তেমন দেখা যায় না। তবে রিজার্ভ ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই নোটগুলি আর ছাপানো হবে না।
আরও পড়ুন: এক চার্জেই দৌড়বে ৭০ কিমি! মাত্র ৭০০০ টাকা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসুন টাটার ইলেকট্রিক সাইকেল
ছাপানোর খরচ বাড়তেই রিজার্ভ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ?
তবে এখানে একটি বিষয় উঠে আসছে। চলতি অর্থবছরে শুধু টাকা ছাপানোর পেছনে ব্যাংকের খরচ হয়েছে ৬৩৭২ কোটি টাকা। হ্যাঁ, তারও বেশি। আর এই বিপুল পরিমাণে খরচ কমাতে ধীরে ধীরে কম মূল্যের নোট ছাপানো বন্ধ করে দিতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাংক।
এখানেই উঠছে সবথেকে বড় প্রশ্ন। অর্থনীতিবিদরা মনে করছে, আবার কি ২০২৬ সালের মতো হঠাৎ করে সব বাতিল হয়ে যাবে? কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংক এখনো এরকম কোন চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি। তবে পরপর একাধিক কম মূল্যের নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।